ফারুক আহমদ,উখিয়া::
উখিয়ায় মোহাম্মদ নোমান (১৭) নামক এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণের ৩ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জালিয়া পালং ইউনিয়নের ছেপটখালী গ্রামের আবদুল মাবুদের পুত্র।
ইনানীর পুলিশ ফাঁড়ি উপ পুলিশ পরিদর্শক তাপস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশনায় গত বুধবার সন্ধ্যায় মনখালীর বটতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র কে উদ্ধার করে পিতা ও আত্বীয় স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রুমখা পালং মাদ্রাসার ৯ ম শ্রেনীর ছাত্র মোহাম্মদ নোমান। তিনি ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ২০ মার্চ মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বের হলে ছেপটখালী গ্রাম হতে একদল সন্ত্রাসী তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে।
পিতা আবদুল মাবুদ জানান, ০১৮৫২৫১৮৯৯৫ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে কিছু লোক মুক্তিপন দাবী করে। অন্যতায় আমার ছেলে নোমান কে খুন করা হবে। জীবিত চাইলে ওই নম্বরে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করো।
বিষয়টি পিতা মাবুদ গত ২৩ উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবহিত করে ছেলে উদ্ধারের জন্য সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ি উপ পুলিশ পরিদর্শক তাপস বড়ুয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মোবাইলের সূত্র ধরে মনখালীর বটতলীতে অভিযান চালিয়ে অপহরণের শিকার নোমান কে উদ্ধার করে। ওই সময় পুলিশের অভিযান টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসার ছাত্র নোমান জানান, মনখালী গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর ছেলে ইব্রাহিম ও আবদুল আলীমের পুত্র কাইছারের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে সিএনজি যোগে প্রথমে ইনানীর পাহাড়ে একটি ঘরে বেধে রাখে। শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে পিতা মাতার নিকট হতে মুক্তিপন দাবি করে।
তিনি আরও বলেন, একদিন পর সেখান থেকে নিয়ে এসে মনখালী এলাকার একটি ঘরে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন চালায়। গত বুধবার সন্ধ্যার পুলিশের অভিযান টের পেয়ে অপহরণকারী পালিয়ে যায়। পিতা জানান, পুলিশ তৎপরতায় অপহরণের ৩ দিন পর ছেলে নোমানকে ফিরে পেয়েছি। তাকে উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যয়পারে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।