উখিয়ায় রোহিঙ্গা গ্রাম পুলিশ কর্তৃক নির্বাচন অফিসে মৃত দেখিয়ে সাংবাদিক হানিফ আজাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বরত ৮নং ওয়ার্ডের রেহিঙ্গা গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলাম উপজেলা প্রশাসনকে জন্ম-মৃত্যুর তালিকা দিয়ে থাকে। এই সূত্রে উপজেলা প্রশাসন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত ও কর্তন করেন। ঠিক এ কায়দায় রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহবিল গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাংবাদিক হানিফ আজাদকে মৃত দেখিয়ে উখিয়া নির্বাচন অফিসে তালিকা প্রেরণ করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে সাংবাদিক হানিফ আজাদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারেননি। অথচ এর আগে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সে ভোট প্রদান করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানা যায়, সাংবাদিক হানিফ আজাদের স্মার্ট কার্ডের জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ১৪৮৮৪১০২১৬, ভোটার নং- ২২১৮২৫০০০০২১ দেখা যায়। কিন্তু ছবি যুক্ত ভোটার তালিকায় সাংবাদিক হানিফ আজাদের ভোটার নং- ৬৪৮ হলেও নামের স্থানে কর্তন করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে রোহিঙ্গা গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলাম ঈর্ষান্বিত হয়ে এ কাজটি করেছেন। সে রোহিঙ্গা মেয়ে নুর জাহানের ছেলে কিন্তু আমিনা খাতুনকে নকল মা বানিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের চৌকিদারের দায়িত্ব পালন করছে। একজন জীবন্ত মানুষকে মৃত ব্যক্তি হিসেবে দেখানো কতটা লজ্জাজনক ব্যাপার তা বোধগম্য নহে। এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করিলে সে সম্পূর্ণ কথা অস্বীকার করেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সংশ্লিষ্ট বাদল নামের একজন কর্মচারী বলেন, মানুষ মারা গেলে ছবি যুক্ত ভোটার তালিকায় তার নাম কর্তন দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলার নির্বাচন অফিসার আবুল তালেব বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছি। এসব ঝামেলার কথা আমি বলতে পারবো না।