উখিয়ায় জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে উপকারভোগীদের চাল বিতরণ না করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নজরে আসলে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুদাম সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার(২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত চাল মজুদ রাখার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে বিতরণ না করা চাল আগামী রবিবার বিতরণ করার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাল বিক্রি করছে জালিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলমের নেতৃত্বে একটি চক্র। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে হতদরিদ্রদের মাঝে ঠিকমতো বিতরণ না করে কালোবাজারি করার জন্য একটি রুমে মজুদ করে রাখতো উপকারভোগীদের বরাদ্দ থেকে আত্মসাত করা চাল। পরে সেখান থেকে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন খাদ্য গোডাউন ও চালের ডিলারদের কাছে বিক্রি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, “৯টি ওয়ার্ডের চাল বিতরণ শেষে অতিরিক্ত আরও সাড়ে ৫শ বস্তা চাল মজুদ রাখা হয়। যা হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন অজুহাতে বিতরণ না করে মজুদ করে রাখা হয়েছিলো। পরিষদে এরকম অনিয়ম রুখে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।”
জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,”বিতরণের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু চাল মজুদ ছিলো যার বিষয়ে চেয়ারম্যান এস এম ছৈয়দ আলম জানেন বলে জানান।”