শিরোনাম ::
উখিয়া ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের বার্ষিক সাহিত্য, ক্রীড়া,সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণ সম্পন্ন বিএনপি আরেকটি ১/১১ চাইছে | SUN NEWS BANGLADESH দুই পর্বে ইজতেমা করবেন জুবায়েরপন্থীরা নিজের কথা ও সুরে সিনেমার গানে কণ্ঠ দিলেন মোশাররফ ইন্টারনেটের ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদের পোস্ট শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড় পেছাল আইএমএফ ‘পরবর্তী ২০ বছর দেশের রাজনীতিতে তরুণদের প্রভাব অব্যাহত থাকবে’ ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি রেলকর্মীদের
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উখিয়ার চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলার আসামি দুই বছরেও ধরা পড়েনি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

ফারুক আহমদ,উখিয়া::

কক্সবাজারের উখিয়া চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ রুবেল (২৫) হত্যাকাণ্ড ২ বছরেও মামলার অন্যতম আসামী আবদুল আলীম ও খোরশেদ আলম এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। আসামীরা দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিহতের পরিবারে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

জানা যায়, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ননের দুই নম্বর ওয়ার্ডের খালখাচা গ্রামের ফজল করিমের পুত্র মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ রুবেল পেশায় একজন টেইলারিং। উপজেলা সদরের মাল ভিটা পাড়া রাস্তার মাথা শিউলি প্লাজা ভবনে রিয়াদ টেইলার্স নামক দোকানে চাকরি করতেন।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ৪ এপ্রিল ২০২০ সালে বিকেলে নিজ কর্মস্হল দোকানে কাজ করা অবস্থায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে রুবেলকে। এ ব্যাপারে বড় ভাই মোহাম্মদ সোনা আলী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হচ্ছে একই ইউনিয়নের মধ্যম সিকদার বিল গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র নুরুল ইসলাম মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র আব্দুল আলিম ও খোরশেদ আলম। যার মামলা নম্বর ১২ তারিখ ৬ মে ২০২০। ধারা ৩০২ ও ৩৪ পেনাল কোড।

এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই ২০২১ সালে মামলার প্রধান আসামি নূরুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

নিহতের বড় ভাই সোনা আলী সাংবাদিকদের জানান আমার ভাই রুবেল প্রতিদিনের ন্যায় টেইলারিং কাজে দোকানে ব্যস্ত ছিল। ওই সময় পরিকল্পিতভাবে নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা সুপরিকল্পিতভাবে দোকানে ঢুকে ধারালো ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমার ছোট ভাইকে।

তিনি আরো বলেন প্রথমে তাকে দোকান থেকে বের করে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল। ঘটনা বুঝতে পেরে দোকান থেকে বের হয়নি। তখন সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও মারধর করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান চিৎকার শুনে স্থানীয় জনগণ এসে রুবেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতাল, পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে নিহত রুবেল ঘটনার দিন ইফতার সামগ্রী নিয়ে বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে তার চাকরিস্থল টেইলারিং দোকানে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হন।

নিহতের পিতা ফজল করিম ও মাতা সফুরা খাতুন পুত্র রুবেল হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন আমার পুত্র কোন দিন কারো দোষ করেনি। শান্তশিষ্ট ও ভদ্র হিসেবে এলাকায় রুবেলের পরিচিতি। পরিবার পরিজন রুবেল হত্যাকারী পলাতক অপর আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।

উখিয়া থানার পুলিশ জানান, এজাহার নামীয় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়েছে। একই সাথে পলাতক আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরো খবর: