নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া::
উখিয়া উপজেলার কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বিশেষ সাধারণ সভা ২০২১ দেখিয়ে সমিতির নামে ব্যাংকের একাউন্ট পরিবর্তনে রেজুলেশনের ঘটনা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত চেয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন সদস্যদের অজান্তে কোন প্রকার নোটিশ কিংবা প্রচারণা ছাড়াই গত ১৫/১০/২০২১ ইং তারিখে বিশেষ সাধারণ সভার রেজুলেশন দেখিয়ে একাউন্ট পরিবর্তনের জন্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, কোটবাজার শাখায় কাগজপত্র জমা দেয়।
সমিতির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন জানান, সমিতির ব্যবস্হাপনা কমিটি সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক সু কৌশলে ভূয়া বিশেষ সাধারণ সভা দেখিয়ে বানোয়াট রেজুলেশন বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে একাউন্ট পরিবর্তনে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী। মুলত সমিতির নামে একাউন্টে গচ্ছিত অর্থ আত্মসাৎ করার কু-মানসে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।
এ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ প্রাপ্তি নম্বর ১২২৩।
তারিখ ২৪/১/২০২২ ইংরেজি।
কোট বাজারে দোকান মালিক সমিতি লিঃ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, বিশেষ সাধারণ সভার কথা বললেও এ ধরনের কোন সভা হয়নি। সভায় উপস্থিত অতিথিদের নাম বা সভার সচিত্র কোন ছবি নেই। বিশেষ সাধারণ সভার নামে যে রেজুলেশন করা হয়েছে তা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন অনিয়ম কাজে চেকে স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে ব্যাংক একাউন্ট থেকে বাদ দিতে গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
সমিতির সভাপতি আবু ছিদ্দিক সওদাগরের মুঠোফোন ফোনে (০১৮২৮৭০২৪৮১) একাধিক বার যোগাযোগ করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি
সমিতির সাধারণ সদস্যদের অভিমত তদন্তপূর্বক রেজুলেশন জালিয়াতির ঘটনা উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।