শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একজনকে গলা কেটে হত্যা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪


কক্সবাজার, ১৩ জানুয়ারি – কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক এক রোহিঙ্গা জিম্মাদারকে (মাঝি) নিজ বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে আরসা সন্ত্রাসীরা।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত রোহিঙ্গা জিম্মাদারের নাম করিম উল্লাহ। তিনি ওই ক্যাম্পের এম/২৭ ব্লকের গণী মিয়ার ছেলে। তিনি ওই ব্লকের সাবেক মাঝি ছিলেন। সে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসার সাবেক সদস্য হিসেবে পরিচিত। দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তাকে আরসার সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪ এর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আরেফিন জুয়েল। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন মুখোশধারী আরসা সন্ত্রাসীরা বালুখালী ক্যাম্প থেকে করিম উল্লাহ কে শেড থেকে জোর করে তুলে নিয়ে শেডের সামনে গলায় কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নিহত করিম পূর্বে আরসার সক্রীয় সদস্য ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি আরসা থেকে অব্যাহতি নেন এবং মিয়ানমারের আরেক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরএসও’র সোর্স হিসেবে কাজ করছিলেন। আরএসওকে আরসা সদস্যদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করায় আরসা সন্ত্রাসীরা করিমকে হত্যা করে বলে প্রচার পায়।

ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে কুতুপালং এপিবিএন ক্যাম্পের পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। ক্যাম্প এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৩ জানুয়ারি ২০২৪


আরো খবর: