নিজস্ব প্রতিনিধি:
উখিয়ার ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি ও লাঠিয়াল বাহিনীর নিয়ে প্রতিদিন চলছে জায়গা জমি দখল – বেদখলের ঘটনা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পাশাপাশি নিরীহ জমির মানিকগণ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।
এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলার রাজা পালং, রত্না পালং ও জালিয়া পালং ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকায় ভূমিদস্যদের অপতৎপতা খুবই বেড়ে চলেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলা রাজা পালং ইউনিয়নের দক্ষিণ পুকুরিয়া গ্রামের মৃত ফকির আহমদের পুত্র নুরুল হক বাহুবল প্রদর্শনপূর্বক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নিরহ লোকজনের জায়গা জমি জোরপূর্বক জবরদখল করে যাচ্ছে।
অভিযোগে প্রকাশ, রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর কথাও অমান্য করে সম্প্রতি জায়গা জবর দখল করে জোরপূর্বক চাষাবাদের চারা রোপন করেছে।
এছাড়াও একই এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র আব্দুল কাদের, মৃত বজলুর রহমানের পুত্র হাজী আবুল কাশেম ও মৃত জহির আহমদের পুত্র চেহের আলীর পৈত্রিক ও ক্রয় কৃত মালিকানাধীন জায়গা জমি জবরদখল করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ভূমিদস্য নুরুল হকের বিরুদ্ধে।
জায়গা জমি জোরপূর্বক জবর দখলের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা রয়েছে। এছাড়াও উখিয়া থানায় ভুক্তভোগীরা জবরদখলকারী নুরুল হকের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে ।
স্থানীয়রা জানান, ভুমি জবর দখলকারী নুরুল হকের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত রয়েছে এমন অভিযোগ লোকের মুখে মুখে।জনশ্রুতি রয়েছে হোয়াইক্যং গ্রামের বাসিন্দা মেয়ের জামাতা বিপুল পরিমানের ইয়াবা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। ইয়াবার টাকার লেনদেন ও আদালত থেকে আসামিদেরকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়টি দেখো ভালো করে সেই নুরুল হক ।
বলতে গেলে তার অত্যাচার নির্যাতন ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক জায়গা জবর দখলের ঘটনায় নিরহ জমির মালিকগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে । ভূমিদস্যদের রাহুল গ্রাস থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।