আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁও,কক্সবাজার :
পুলিশের গুলিতে উল্লাসিত জনতার অর্ধডজন আহত ও একজন নিহত হওয়ার সংবাদে জনতা থানা ঘেরাও করে রাখে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা থানার বাহির এলাকার তাদের রান্নাঘরে আগুন দেয়। পরে থানা ভবনেও আগুন দেয়।
সোমবার (৫ আগস্ট) ২ টার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, সোমবার দুপুরে দিকে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করেছে সংবাদে উল্লাসিত হাজারো জনতা চতুর্দিকে দিক দিয়ে মহাসড়কে জড়ো হয়ে থানার সামনে উল্লাস প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ জনতা মুখোমুখি হলে থানার অভ্যন্তর থেকে জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়ে।এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলে উল্লাসিত জনতা চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।এক পর্যায়ে থানার বাহিরে পুলিশের রান্নাঘরে আগুন দেয়। এতে পুলিশ আবারো গুলি ছুড়তে চাইলে জনতা থানায় হামলার চেষ্টা করে।এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য থানা কম্পাউন্ডের বাউন্ডারি দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অবরুদ্ধ পুলিশরা বিকাল ৫ টার দিকে গাড়িযোগে পুলিশ গুলি ছুড়তে ছুড়তে বের হলে আবারো
কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং থানা ছেড়ে পুলিশ দল চকরিয়ার দিকে পালিয়ে যায়।এসময় গুলিবিদ্ধ এক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানা ভবন জ্বলছে। তবে যে ক’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।অপরদিকে বারবার গুলিবিদ্ধ একজন নিহত হয়েছে এ সংবাদ প্রচার হলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এদিকে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার হাজার হাজার জনতা মহাসড়কমুখি হয় এবং সড়কে উল্লাস করতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহল দল পৌছালে জনতা দুই পাশে দাড়িয়ে তাদের হাত তালিতে স্বাগত জানান।এসময় সেনা সদস্যরাও উল্লাসিত জনতাকে হাত নেড়ে তাদের অভিবাদন জানান। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানা ভবন জ্বলছে এবং উল্লাসিত জনতা মহাসড়ক ও স্টেশনে নানা স্লোগান, বক্তব্য, গান এবং নেচে গেয়ে উল্লাস অব্যাহত রেখেছে।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান,তিনি এখন নিরাপদে আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট রবিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার সাথে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গাড়িতে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর হয়। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা থানা ঘেরাও করলে এতে পুলিশ জনতার উপর গুলি ছুড়লে ১৫ থেকে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়।