ওয়াশিংটন, ০৬ আগস্ট – পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দল পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বিষয়টিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে।।
গতকাল শনিবার তোষাখানা মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই লাহোর থেকে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। সাজা পাওয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, ইমেইলে পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, “ইমরান খান এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘আমরা গোটা বিশ্বের মতো পাকিস্তানেও গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব আইনপ্রণেতা সাধারণত ইমরান খানকে সমর্থন করেন, তারা এখন পর্যন্ত নীরব।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান টুইটে বলেছেন, “কিছুদিন আগেই পাকিস্তান সরকার পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পথ তৈরি করায় রাজনৈতিক সংকট কিছুটা কমেছে বলে মনে হচ্ছিল। তবে এখন, ইমরান খানকে আবার গ্রেপ্তার এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার ইঙ্গিত দিয়ে সব বাজি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হল।
এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার।
পিটিআই এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে ইমরানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ০৬ আগস্ট ২০২৩