শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণার পরে পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২

ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণার পর পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিক্ষোভে নামলেন তার দলের নেতাকর্মীরা। পাকিস্তানের সব বড় শহরে বিক্ষোভে নেমেছেন তারা।

তোশাখানা মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে পাওয়া মূল্যবান উপহার বিক্রি করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ বছর ইমরানকে সব সরকারি পদ থেকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ফলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যপদও হারিয়েছেন তিনি।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইকবাল শহরের কাছে ইসলামাবাদ এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের কর্মীরা। অবস্থা সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ফৈজাবাদে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ইসলামাবাদে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরেও গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরানের দল।

গত আগস্টে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের সবচেয়ে বড় শরিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ- নওয়াজের (পিএমএলএন) সদস্য মোহসনি নওয়াজ রানঝা ইমরানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশি বিশিষ্টজনদের দেওয়া উপহার কিনলেও নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সেগুলোর উল্লেখ করেননি।

পরে শুনানিতে বিচারক বেঞ্চ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশি-বিদেশি সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি—তার সঠিক তালিকা তিনি নির্বাচন কমিশনকে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এসব উপহার নিয়ে ব্যাপকমাত্রায় দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন বেঞ্চ।

তার পরেই ইমরানের দলের তরফে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাবে তারা। নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে ইমরানের আইনজীবী আলি জাফর জানান, তার মক্কেল বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া চারটি উপহার বিক্রি করেছেন ঠিকই। কিন্তু সেগুলোর রসিদ আয়কর রিটার্নে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের মতে, সরকারি পদে থাকা ব্যক্তি উপহার পেলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো প্রয়োজন। সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন। কিন্তু তাকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে হবে। উপহারগুলো সরকারি কোষাগার বা তোশাখানায় রাখা হয় বা নিলাম করে দেওয়া হয়।


আরো খবর: