মস্কো, ২০ ডিসেম্বর – রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে আমেরিকা, ইউরোপের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া, যদি তারা চায়। তবে দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই আলোচনা বসবে মস্কো। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার মস্কোতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে পুতিন এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু, চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) পরিচালক আলেকজান্ডার বোর্টনিকভসহ শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা।
পুতিন বলেন, আমরা বরাবরই শান্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু পশ্চিমারা তার এ কথায় আস্থা রাখছেন না। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, সত্যিকারের আলোচনার জন্য মূলত আগামী বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত কালক্ষেপণ করছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে যারা রাশিয়ার ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে, অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেররিকা, তারা কি আলোচনা করতে চায়? করুক তবে। আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই যা আলোচনা করার করব।’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করার কোনও ইচ্ছাই রাশিয়ার নেই। তবে আমারা আমাদের দেশের স্বার্থে এক বিন্দুও ছাড় দেব না।
রাশিয়ান সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে আরও উদ্যোগী হয়েছে বলে দাবি করে পুতিন বলেন, আগামী ১০-২০ বছর পরও ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ মেনে নেবে না রাশিয়া।
এছাড়াও বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শোইগু ২০২২ সালে পর থেকে সামরিক খাতে রাশিয়ার অগ্রগতি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাত শুরু হয় ইউরোপে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দুপক্ষের প্রায় ৩ লাখ সেনা হতাহত হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের প্রায় ১০ হাজার বেসামরিকের প্রাণ গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩