বার্লিন, ১৮ ফেব্রুয়ারি – যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ধারণা, আমরা স্নায়ুর কাছে হেরে যাবো, ইউক্রেনকে সমর্থন দিতে দিতে অধৈর্য্য হয়ে পড়বো। কিন্তু পুতিনের এ ধারণাকে আমাদের (যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা দেশগুলো) ভুল প্রমাণিত করতে হবে। কিয়েভকে এখন দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন-নিরাপত্তা দিতে হবে, পাশাপাশি সামরিক সহায়তা দ্বিগুণ করতে হবে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখ শহরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
এসময় ঋষি সুনাক ইউক্রেনের নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে নতুন একটি নিরাপত্তা অবকাঠামো গড়ে তোলার ও পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান। যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে ইউক্রেনের মতো ন্যাটোভু্ক্ত নয় এমন কোনো দেশের ওপর ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
বক্তব্যের একপর্যায়ে সাংবাদিকরা ঋষি সুনাককে ইউক্রেনে ফাইটার জেট সরবরাহের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরে তিনি বলেন, আসলে নির্দিষ্ট ধরণের বিমান সরবরাহের ক্ষেত্রে ‘জটিলতা’ রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ন্যাটোর মতো করে বিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্য দেশগুলো যদি ইউক্রেনে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠায়, তাতে যুক্তরাজ্যের কোনো আপত্তি থাকবে না। বরং আমরা তা আনন্দের সঙ্গে সমর্থন করবো।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনে নিজেদের ১৪টি লেপার্ড- ২ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেন। একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে ৩১টি এম-১ আব্রামস ট্যাংক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
তার আগে ইউক্রেনে লেপার্ড ট্যাংক পাঠাতে আপত্তি জানিয়েছিল জার্মানি। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দিলে নিজেদের তৈরি অত্যাধুনিক এ ট্যাংক দিতে রাজি হয় বার্লিন। পরে কানাডাও ইউক্রেনে ৪টি লেপার্ড ট্যাংক পাঠানোর কথা বলে।
এদিকে, অত্যাধুনিক ট্যাংক পাওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ এর মতো চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক বিমান চেয়ে বসেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আগেরবার তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে লেপার্ড ট্যাংক পাঠালেও, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত চুপচাপ আছেন পশ্চিমা মোড়লরা।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩