রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

আ.লীগ আমলে চিহ্নিত দুর্গম এলাকাগুলো বহাল রাখলো ইসি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫




ঢাকা, ১৫ মার্চ – বিগত সরকার আওয়ামী লীগের করা ৭৪টি দুর্গম এলাকাকে বহাল রাখতে যাচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আওয়ামী লীগের আমলে ২৩টি জেলার ৭৪টি এলাকাকে দুর্গম বলে বিবেচনা করা হয়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ইসি সূত্র জানায়, চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে কার্যক্রমে ইতোমধ্যে নির্ধারিত হারের দেড়গুণ ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহকারী ও অন্যদের জন্য ভাতা এবং অন্য খাতে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, যা স্বাভাবিক। কারণ সমতল ভূমির চেয়ে এসব এলাকায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা বা নির্বাচনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা অনেক কষ্টের। এসব দুর্গম এলাকায় যেমন শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়, তেমনি স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও রয়েছে।

এক ইসি কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালে ২৩টি জেলার যে ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, সেগুলো আমরা সভায় উপস্থাপন করি। এক্ষেত্রে এ তালিকা থেকে কোনো উপজেলাকে বাদ দেওয়া হবে নাকি নতুন কোনো উপজেলাকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে বিদ্যমান ২৩টি জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবেই বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইসির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চল, হাওর অঞ্চল, দ্বীপ অঞ্চল ও সমতল ভূমিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট ও দুর্গমতার ব্যাপকতা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে দুর্গম এলাকার তালিকা শ্রেণিভিত্তিকভাবে করা হবে।

এদিকে ইসির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে একাধিকবার বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ধরে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনের আগে বড় প্রস্তুতির মধ্যে আছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, যা শেষ হবে জুনে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, যেটির আইন সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়ার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন, যেখানে নতুন রাজনৈতিক দল আবেদন করতে পারবে আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য বিদ্যমান নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার পুনঃমূল্যায়নের কাজ চলমান। এর বাইরে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, ব্যালট পেপার তৈরির মতো কাজগুলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শুরু করা হয়।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১৫ মার্চ ২০২৫



আরো খবর: