শিরোনাম ::
রামুতে সা.কা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলার স্বাক্ষ্যদানকারী আটক রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫ জন বহিস্কার চকরিয়ায় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে কাঠুরিয়া নিহত, রাতে জঙ্গল থেকে মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে মুক্তিপণে ছাড়া পেল অপহৃত দুইজন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারসহ ১১ বাংলাদেশি জেলেকে তুলে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক যুবক কারাগারে উখিয়া-টেকনাফের চালের কার্ড অন্য জেলায় হস্তান্তরের পায়তারা, ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল পাসের প্রতিবাদে রামুতে বিক্ষোভ মিছিল চকরিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারিদের কর্মবিরতি,
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

আ.লীগে যোগ দিচ্ছেন মুরাদ সিদ্দিকী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকীর ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন চলছে। এটি এখন টক অব দ্য টাঙ্গাইল। শোনা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছেন বিখ্যাত সিদ্দিকী পরিবারের এই সদস্য।

মূলত গত ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের শহিদ মিনারে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পন দিবস উদযাপন করা হয়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সংসদ-সদস্য মৃনাল কান্তি দাস উপস্থিত হন। এই অনুষ্ঠানের পর থেকেই অনেকের ধারণা, আওয়ামী লীগ অথবা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে যাচ্ছেন কাদের সিদ্দিকী।

অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত থাকলেও আরেক ভাই মুরাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন না। রাজনৈতিক নেতারা ধারণা করছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমঝোতা হবে। লতিফ সিদ্দিকী হয় আওয়ামী লীগে ফিরবেন না হয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

এদিকে মুরাদ সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগে যোগদান ও জেলা কমিটিতে পদপ্রাপ্তির বিষয় নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তাকে জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন বলে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। কিন্তু জেলার কয়েকজন সংসদ-সদস্য এবং জেলা পর্যায়ের বড় একটি অংশ মুরাদ সিদ্দিকীকে দলে নেওয়ার ঘোর বিরোধী।

মুরাদ সিদ্দিকী কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। এ অবস্থায় মুরাদ সিদ্দিকী জেলা আওয়ামী লীগে পদ পাচ্ছেন, নাকি এবারও দলে ঢুকতে ব্যর্থ হচ্ছেন-এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।

গত ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মুরাদ সিদ্দিকী বড় মিছিল নিয়ে অংশ নেন। ওইদিন সম্মেলনে ফজলুর রহমান খান ফারুককে সভাপতি এবং সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলামকে (ভিপি জোয়াহের) সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এ বিষয়ে মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, আমি আওয়ামী লীগের আদর্শের বাইরের কেউ নই। সবসময় সব অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেছি। আওয়ামী লীগের সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছি। দল যদি আমাকে কোনো দায়িত্ব দেয় তা পালন করার জন্য প্রস্তুত আছি।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। তবে মুরাদ সিদ্দিকী আমাদের দলের কেউ না।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, মুরাদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগে যোগদানের চেষ্টা করছেন, এটা সত্য।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম কিছুটা সম্মতি দিয়েছেন। আগামীকাল বা পরশু আমরা বসব। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্র: যুগান্তর

 


আরো খবর: