রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

আসলেই কি জুমাবারে মৃত ব্যক্তির কবরের আযাব মাফ হয়?

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫


জুমাবার হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। পবিত্র কুরআনে জুমা নামে একটি সুরাও রয়েছে। যেখানে মহান এই দিনের তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে।

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচাকেনা বর্জন করো। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)।

আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- সূর্য উদয়ের দিবসগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। সে দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়। তাকে ওইদিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। তাকে তা থেকে ওইদিন বের করা হয়। আর কেয়ামতও হবে জুমার দিবসেই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮৫০)

এ ক্ষেত্রে জুমার দিনে উত্তমরূপে গোসল, মিসওয়াক, সুগন্ধি ব্যবহারসহ উত্তম কাপড় পরিধান করে মসজিদে যাওয়ার কথা অনেক হাদিসে এসেছে। সালমান ফারসী (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ সালাত (নামাজ) আদায় করে।

আর ইমাম যখন (খুতবার জন্য) বের হন তখন চুপ থাকে। তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৬৪)

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন- যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি জুমাবারে বা জুমার রাতে ইন্তেকাল করবে তাকে আল্লাহ তা’আলা কবরের ফিতনা থেকে হেফাজত করবেন। (তিরমিজী, হাদিস: ১০৭৪; মেশকাত, হাদিস: ১৩৬৭)

শায়খ আহমাদুল্লাহসহ বেশিরভাগ আলেমদের মত, জুমাবারে মারা গেলে মুমিন বান্দা যে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবেন তা উপরোক্ত হাদিস দাঁড়াই স্বীকৃত। তবে জান্নাতে প্রবেশ করবে সরাসরি এমনটা ভেবে নেয়া ঠিক নয়। যদিও বিভিন্ন হাদিস অনুযায়ী আশা করা যায়, মৃত্যুর পর যার পরকালের প্রথম ধাপ কবরের হিসাব-নিকেশ সহজ হবে, তার জন্য পরবর্তী ধাপগুলো সহজ হবে।

সূত্র : বিডি২৪লাইভ



আরো খবর: