নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে রাজি নয় বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে জাপানের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতে এলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির সহায়তা চাওয়া হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তাদের সহায়তা চেয়েছি। আমি বলেছি, মিয়ানমারের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো। কাজেই আপনারা সহায়তা করুন। তারা অনেক প্রসঙ্গ তুলেছেন, আমি বলেছি ছোটোখাটো এক হাজার লোক নিয়ে গেলে তো হবে না। টেকসই একটা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তারা যেন নিরাপদ থাকে এবং একটা অর্থনৈতিক জীবন ফলো করতে পারে। এ দুই ব্যাপারে তারা যেন আমাদের সহায়তা করে এবং পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন আমাদের এ ব্যাপারে সহায়তা করে।
তিনি বলেন, আমরা আর কোনো রোহিঙ্গাকে নিতে পারব না। পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে, মিয়ানমারের বর্ডারিং আরও দেশ আছে।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অন্যান্য আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। দেশটির রাষ্ট্রদূত সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি এবং বলেছি, জাপান সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের ভালো অনুভূতি আছে এবং সেটা তারাও জানে।
জাপানের বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের টাকাটা আসলে যায় না। অনেকের চলে যায়। কিন্তু তাদেরটা থেকে যায়। জাপানের সঙ্গে যেসব প্রোগ্রাম চলামান আছে সেগুলোর যেন কোনো ব্যত্যয় না হয় রাষ্ট্রদূত এটা বলেছেন।