বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

আরো ৬ লাশ উদ্ধার, কক্সবাজারের বন্যায় নিহত ১৮

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩

বন্যায় কক্সবাজারে আরো ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পেকুয়ায় খালের পানিতে পড়ে নিখোঁজ দুই সহোদরসহ তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফেরাসিঙ্গাপাড়ার খালে বুধবার সন্ধ্যায় শিশুরা ভেসে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে একই খাল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো তিনজন হলো- স্থানীয় নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০), ছেলে আমির হোছাইন (৭) ও তাদের নিকটাত্মীয় ছাবের আহমদের মেয়ে হুমাইরা বেগম (৮)।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ও আজ সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চকরিয়ায় ‘বন্যার পানিতে’ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়া সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এক বাবা ও তার দুই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ১১টায় চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ।

এ নিয়ে বন্যায় কক্সবাজার জেলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হলো। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) বিভীষণ কান্তি দাশ কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ৬০ ইউনিয়নে চার লাখ ৮০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে ভূমিধস ও পানিতে ডুবে মারা গেছেন ১২ জন। বন্যায় প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি এক কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পানি নেমে যাওয়ায় দুই দিন পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মোহাম্মদ ইরফান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার থেকে পানি কমা শুরু হয়েছিল।

আজ সড়কের কোথাও পানি নেই। সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।’
এর আগে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি জমে সোমবার রাত থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এদিকে বন্যায় মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, কাঁচা রাস্তা ও কালভার্ট ভেঙে গেছে। বেড়িবাঁধ, ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যেন কেউ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ভেসে গেছে বীজতলা, ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মোহাম্মদ ইরফান সাংবাদিকদের জানান, বন্যার পানি মহাসড়ক থেকে নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় পানি রয়েছে। বৃষ্টি না হলে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তা-ও কমে আসবে।


আরো খবর: