নয়াদিল্লি, ২৫ ফেব্রুয়ারি – আরব সাগরের পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া প্রাচীন শহর দ্বারকাতে পূজা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শত বছর আগে তলিয়ে যাওয়া গুজরাটের উপকূলবর্তী এই শহরটি হিন্দু দেবতা কৃষ্ণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গুজরাটের পাঞ্চকুনি সমুদ্র সৈকতে ডুবন্ত দ্বারকা নগরীর দর্শন করেন মোদি। এসময় পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া দ্বারকাধীশ মন্দিরে পূজা করেন তিনি।
দ্বারকা সবসময়ই পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। দ্বারকার প্রাগৈতিহাসিক শহর আরব সাগরের তলায় তলিয়ে যায়। ধারণা করা হয়, এই শহরের সঙ্গে হিন্দু দেবতা কৃষ্ণের সম্পর্ক রয়েছে।
এদিনে গুজরাট সফরের প্রথম দিনের শুরুতেই ভেট দ্বারকায় ‘সুর্দশন সেতু’র উদ্বোধন করেন মোদি। এটিই ভারতের দীর্ঘতম কেবল সেতু। তার পর সেখান থেকেই সোজা চলে যান দ্বারকাধীশ মন্দির দর্শনে। পাঞ্চকুনি সমুদ্র সৈকতে পৌঁছেই স্কুবা ডাইভিং করে দ্বারকা নগরীর দর্শন করেন তিনি। সেখানে দ্বারকাধীশ মন্দিরে প্রার্থনাও সারেন তিনি।
মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘পানির নিচে ডুবে যাওয়া দ্বারকা নগরীতে গিয়ে প্রার্থনা করা একটি ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা ছিল। আধ্যাত্মিক অনুভূতি হল। শাশ্বত ভক্তি এবং প্রাচীন যুগের সঙ্গে সংস্পর্শে আসার অভিজ্ঞতা কখনও ভুলব না ‘
তিনি আরও লিখেছেন, ‘পুরাতত্ত্ববিদেরা বারবার দ্বারকা নগরীর কথা উল্লেখ করেছেন। সমুদ্রের নিচে এই শহর দেখার সুযোগ পেলাম। শ্রীকৃষ্ণ নিজের হাতে এই শহর তৈরি করেছিলেন।’
মন্দির দর্শনের সময় তিনি কী কী করেছেন তার বর্ণনাও করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪