সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

আব্দুস সাত্তারকে ধরে রাখতে না পারা বিএনপির ব্যর্থতা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ঢাকা, ০২ ফেব্রুয়ারি – উকিল আব্দুস সাত্তারকে ধরে রাখতে না পারাকে বিএনপির বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, সেখানে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন) যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না, সেহেতু আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা যে কাউকেই পছন্দ করতে পারেন। সেখানে কারও জন্য কাজ করার দলীয় কোনো নির্দেশনা ছিল না। যে যার পছন্দমতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনে আমরা প্রার্থী দেয়নি সুতরাং সেখানে উকিল আব্দুস সাত্তারকে বিএনপি ধরে রাখতে পারেনি, এটা তো বিএনপিরই বড় ব্যর্থতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়নের নব দিগন্ত’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল ডিসেম্বর মাসেই সরকারকে বিদায় করে দেবে, সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। কিন্তু সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই পড়ে গেছে। এরপর থেকে তারা এখন হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে যে, সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হয় না, আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত। আশা করবো, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যেই থাকবে, গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০০৮ সালে নির্বাচনে ২৯টি আসন পেয়েছিল, পরে উপনির্বাচনে ৩০টি অতিক্রম করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও তাদের সম্ভাবনা যে নেই সেটি তারা জানে, জানে বলেই তারা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচনবিমুখ করার জন্য নানা ধরনের কথাবার্তা বলছে।
ছয় আসনের উপনির্বাচন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। ওই সব আসনে আমাদের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করেছে এবং নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। উপনির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। যেখানে এক বছরের কম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেই বিবেচনায় এই উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব কম নয় এবং অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হয় না। আবার যারা ভোটার হয় সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হয়। সার্বিকভাবে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। যেহেতু উপনির্বাচনে এক বছরে কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবে, সে হিসেবে ভালো হয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দীন, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা খালেদা বেগম প্রমুখ।

সূত্র: সমকাল


আরো খবর: