শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

আবারো জেলার শ্রেষ্ট ওসি নির্বাচিত হলেন উখিয়া থানার শেখ মোঃ আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জেলা পর্যায়ে আবারো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন।

৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ মূলক পর্যালোচনা সভায় উখিয়ার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক বিবেচনায় তাকে জেলার শ্রেষ্ট ওসি হিসেবে শেখ মোহাম্মদ আলীকে ঘোষণা করা হয়।
সভায় জেলার শ্রেষ্ট ওসি হিসাবে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম ।

এদিকে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ট ওসি (তদন্ত) হিসাবে মনোনীত হয়েছেন উখিয়া থানার বিপুল চন্দ্র দে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছিলেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

জেলা পুলিশ সুপার মো.মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কক্সবাজার জেলার ক্রাইম কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ (মহেশখালী), জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহ উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ক্রাইম কনফারেন্সে জেলার প্রতিটি থানার পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করা হয়। ওয়ারেন্ট তামিল, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, ইয়াবা গডফাদার গ্রেফতার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক কার্যক্রমের ভিত্তিতে এবারও কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) হিসেবে আবারো উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীকে এবং শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে উখিয়া থানাকে মনোনীত করা হয়েছে।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, গত কয়েক দিন পূর্বে রেজুখালে একটি মহিলার লাশ পাওয়া যায়। ভিকটিম এর স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন থানায় ফোন করে জানান যে, একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে । ভিকটিম এর মা,শ্বশুর সবাই বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের আবেদন করেন। কিন্তু থানায় ভিকটিম এর স্বামী না আসাতে আমার সন্দেহ হওয়ায় কৌশলে স্বামী কে থানায় নিয়ে আসি। দীর্ঘ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ভিকটিমের স্বামী স্বীকার করে যে,সে তার স্ত্রীকে নৌকা থেকে ধাক্কা মেরে রেজুখালে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে।ভিকটিমের খালাতো বোনের সাথে ভিকটিমের স্বামীর পরকীয়া প্রেম ছিলো। প্রেমিকার প্ররোচনায় ভিকটিমের স্বামী ভিকটিম কে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায়।
তাৎক্ষণিক আমি সঙ্গীয় ফোর্স সহ কৌশলে আসামির প্রেমিকাকে গ্রেফতার করি। ভিকটিমের স্বামী আদালতে ১৬৪ কাঃবিঃ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন রোহিঙ্গা শিশুও সাক্ষী হিসেবে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।ভিকটিম রোহিঙ্গা। সে ছিলো পরিবারের একমাত্র সন্তান। ভিকটিমের একটি দেড় বছরের কন্যা সন্তান আছে।


আরো খবর: