ঢাকা, ১৬ মার্চ – জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, এবার অনলাইনে রিটার্ন জমা সফল হয়েছে। আগামী বছর অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। অনলাইনে রিটার্ন না দেওয়ার কোনো উপায় নেই। পুরোপুরি অনলাইনে রিটার্ন দিতে হবে। অনলাইনে রিটার্ন জমায় সময় ও অর্থ বাঁচে। আর টেনশন একদমই থাকে না। কারণ ক্যালকুলেশন তো, কোনটা ট্যাক্সেবল, কোনটার কত করহার কিছুই জানা দরকার নেই। আপনি তথ্যগুলো দেবেন, সিস্টেম ক্যালকুলেশন করে দেবে।
রোববার (১৬ মার্চ) আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়কর বিভাগের কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও মূল্যায়ন শাখা আয়োজিত ‘রিটার্ন সিস্টেমের সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায়’ শিরোনামে কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বছরের পহেলা জুলাই থেকে অনলাইনে রিটার্ন সহজলভ্য হবে। এ বছর যারা রিটার্ন দিয়েছেন, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এটা অনেক লম্বা সময় ধরে আমাদের আর্কাইভে থাকবে। আমরা ক্লাউড সার্ভারও নেব। আমরা অ্যাপস তৈরি করব। আগামী বছর থেকে করপোরেট রিটার্ন অনলাইনে দিতে হবে। অনলাইন রিটার্ন গত বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনি কেবল তথ্য দেবেন। ক্যালকুলেশনের সিস্টেম আছে। যদি কোনো ভুলত্রুটি হয় তার দায়িত্ব ডিপার্টমেন্টের। আপনার কোনো দায় নেই। কিন্তু আপনি যখন ম্যানুয়ালি করেন, এতে যখন ভুলত্রুটি হয় তখন পুরো দায় আপনার ওপর চলে আসে। অনেকেই অডিটের নামে ডাকাডাকি করে। অডিটের সিলেকশন আপনাদের বিবেচনায় সঠিক হয় না। একজন করদাতা প্রতিবছর ডাক পান, আরেকজন করদাতাকে কখনোই ডাকা হয় না। এরকম হওয়ার কথা না। যদি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন তাহলে প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। আমাদের পক্ষে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে অটোমেটেড পদ্ধতিতে ফাইল সিলেকশন করা যাবে। তখন আপনাকে পছন্দ করে না বলে বারবার ডাকবে, এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
কর্মশালায় এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সরকারি চাকরিজীবী, তফশিলি ব্যাংকের প্রতিনিধি ও মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।