রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

অর্থ আত্মসাৎ: ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩


ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ অভিযোগে ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে দুদককে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. গাফ্‌ফর হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সোমবার মামলাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা, মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক জাকির হোসেন, প্রকৌশলী বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সালেকুর রহমান।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর একই আদালতে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সরকার আদালতে হাজির হয়ে ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ১৬ জুলাই ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।

অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে।

এ ছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সস্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে আসামিরা।

সূত্র: সমকাল

,


আরো খবর: