আদালতের আদেশ তোয়াক্কা না করে রাতের অন্ধকারে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে কোটবাজার আরব সিটি সেন্টারের সামনে বিরোধীয় জায়গায় নির্মাণধীন স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ী মহল।
১০ জুলাই (সোমবার) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভার পর কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির আওতাধীন সকল ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে এ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিথিত বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বাবুল।
এর আগে গত ২১ জুন কক্সবাজার আদালতে ১৪৪ ধারা চেয়ে বৌধিরত্ন বড়ুয়ার গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যার মামলা নম্বর ১১৪৬/২০২৩।
তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়া থানার এস আই মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভূইয়া গত ২৭ জুন বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ও জাফর আলম অভিযোগ করে বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কোটবাজার এলাকার ক্ষিরোদ চন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে বোধিরত্ন বড়ুয়া ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকার জুবাইর উদ্দিনের ছেলে সাকের উদ্দিন যোগসাজসে লোহার এ্যাঙ্গেল দিয়ে তড়িগড়ি করে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে বাধা দিলে তা অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। পরে আইনের আশ্রয় নিলে উখিয়া থানা পুলিশ দফায় দফায় ঘটনাস্থলে পৌছে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এরপর গতকাল রাতের আঁধারে বোধিরত্ন বড়ুয়া ও সাকের উদ্দিন লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক দোকান নির্মাণের চেষ্টা করলে পরে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দেরা এসে বাধা প্রদান করলে লাঠিয়াল বাহিনীদের সাথে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলমের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরবর্তী ৯৯৯ এ ফোন দিলে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম আসলে লাঠিয়াল বাহিনীরা সরে পড়ে।
এবং এরই প্রেক্ষিতে আজ বিকেলে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির অফিসে ওই স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এক সংবাদ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে এ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।