কক্সবাজারের টেকনাফে অবশেষে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছে রবিউল আলম নামের এক স্কুল শিক্ষকসহ দুইজন।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ঘরে ফিরেছে বলে জানায় রবিউল আলমের ভাই সাইফুল ইসলাম।
অপহৃত স্কুল শিক্ষক উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার ‘আলোর পাঠশালা’ নামক একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অপরজন রোহিঙ্গা।
এ বিষয়ে অপহৃতের সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে আমার ভাইসহ অপরজন ইজিবাইকে (টমটম) করে বাড়িতে ফিরছিলেন। অপহরণকারীরা আমার ভাইকেসহ আরেকজনকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে।
তবে স্থানীয়রা বলেন, গেল শনিবার রাত ৮টার দিকে স্কুল শিক্ষক রবিউল আলমসহ এক রোহিঙ্গা ইজিবাইকে করে বাড়িতে ফেরার পথে অপহরণকারীরা গাড়িটি অবরুদ্ধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
আলোর পাঠশালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। এভাবে তো চলতে পারেনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। কত টাকা দিয়ে ফিরে এসেছে তা জানিনা। তবে সাড়ে ১১টার দিকে অপহৃত রবিউল আলমের বাবার সাথে কথা হয়। তিনি বলেছিলেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার, পরে নাকি ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলো অপহরণকারীরা।
তবে এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আমরা আমাদের অভিযানও অব্যাহত রেখেছিলাম।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩০মার্চ) রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে রবিউল আলম বাড়ি ফেরার সময় ইজিবাইকের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গহীন পাহাড় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে তার স্ত্রীর কাছে মোবাইলফোনে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।