সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

অপহরণ মামলার বিষয়ে ব্যাখা দিলেন বিদিশা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩


গাইবান্ধা, ০৭ এপ্রিল – প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা আদালতে মামলা দায়েরের ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অপহরণ, নির্যাতন ও আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে মামলাটি করেন তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. আতিকুর রহমান। গত ২৮ মার্চ বিদিশা সিদ্দিকসহ চারজনকে আসামি করে গাইবান্ধা আমলি আদালতে (সদর) মামলাটি করেন তিনি।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিদিশা সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও আদালত চত্বরে আসেন আগাম জামিন নিতে।

এসময় অপহরণ, নির্যাতন ও অস্ত্রের মুখে স্ট্যাম্পে সই নেয়ার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদিশা সিদ্দিক বলেন, আমাকে দেখে কি মহিলা গুন্ডা মনে হয়! জলজ্যান্ত একজন মানুষকে অপহরণ করবো!, নাকি এটা ছোট বাচ্চা না চকলেট? আর যদি তাকে অপহরণই করা হয়, তাহলে সে কি করে গাইবান্ধায় সংবাদ সম্মেলন করে?

এদিকে অপহরণের বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন বিদিশা সিদ্দিক এর ব্যক্তিগত সহকারী মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আতিকুর রহমান ম্যাডামের একজন বেতনভুক্ত কর্মচারি মাত্র। তার কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। এটা সম্পুর্ন ভুল বোঝাবুঝি। ইটভাটার প্রকৃত মালিক বিদিশা সিদ্দিক। তাকে ভাটা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিয়ম অনুযায়ী টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

আতিকুর রহমান গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত মালিবাড়ি ধর্মপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আতিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিদিশা ও তার লোকজন ৭ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার গুলশানের একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালান। এ সময় অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি ১০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন। এ ছাড়া তার কাছে থাকা টাকা, মোটরসাইকেলের চাবি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এটিএম কার্ড ও সই করা ব্যাংকের চেকের পাতা ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে একে একে তার ভাই মো. আসাদুজ্জামান ও বাবা মোহাম্মদ আলী সরকারকে ঢাকায় ডেকে নেয়া হয়। তাদের দুজনকেও আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয় বলে আতিকুর দাবি করেন।

বর্তমানে আদালতের বিচারক উপেন্দ্র চন্দ্র দাস গাইবান্ধা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৭ এপ্রিল ২০২৩


আরো খবর: