সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

অনুমোদিনহীন সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে স্পিডবোট ডুবি, ১৯ যাত্রী জীবিত উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ঢেউর কবলে পড়ে যাত্রীবাহী একটি স্পিড বোট ডুবে গেছে।এ সময় স্থানীয় জেলেরা তিনশিশুসহ ১৯যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার(০৫এপ্রিল)দুপুরে সাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

জানা যায়,শুক্রবার দুপুরে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীরদ্বীপের উদ্দেশ্য রওনা দেন সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন স্পিড বোটটি এরমধ্যে ৭জন টেকনাফের রাজমিস্ত্রী ও ১২জন স্থানীয় বাসিন্দা।এছাড়া অপর দুইজন স্পিডবোটের চালক ও সহকারি ছিলেন।

সেন্টমাটিন ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম চৌকিদার নুরুল হক বলেন,দুপুর সাড়ে১২টার দিকে তিনশিশুসহ ১৯জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়।স্পিডবোটটি নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পৌঁছলে বড় ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায়।এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা পানিতে ভাসতে থাকে।অদক্ষ ড্রাইভার এর কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে।আমিও সাগরে দুইটি বাচ্চা নিয়ে এক ঘন্টা ভেসে ছিলাম।পরে স্থানীয় জেলেরা ও অন্য একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট আমাদেরকে উদ্ধার করেন।এতে আমরা সকলে প্রাণে বেঁচে যায়।

সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন,যে স্পিডবোডটি দূর্ঘটনা হয়েছে এটা আমাদের সমিতির নয় এবং উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি বিহীন।সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাত্রী পরিবহন করে আসছে।এই স্পিডবোট গুলো অনেক সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহার করে থাকে।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অনুমতিবিহীন কোন স্পিডবোট যাতে সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচল করতে না পারে।সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন,শুক্রবার দুপুরে সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী স্পিড বোটটি নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌছালে ঢেউর কবলে পড়ে ডুবে যায়।খবর পেয়ে যাত্রীবাহি আর একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগরে ভাসতে থাকা লোকজনকে জীবিত উদ্ধার করে।এই স্পিড বোটে আমার পরিষদের একজন গ্রাম চৌকিদারও ছিল।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন,ঐ স্পিডবোটটি সেখানকার স্পিডবোট মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত নয়।এটি কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করতো।এর মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো খবর: