নাটোরের গুরুদাসপুরে ৬ মাসের প্রেমের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার পর বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাসার সামনে অনশনে বসেছে এক কিশোরী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐ উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মোমিন আলী নাজিরপুর এলাকার হামিদ আলীর ছেলে। তার প্রেমিকার বাড়ি সিংড়া উপজেলার চামারি এলাকায়। ঐ কিশোরী এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
জানা গেছে, মোমিন আলীর সঙ্গে ঐ কিশোরীর প্রায় ৬ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জেরে বিয়ের প্রলোভনে তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর ঐ কিশোরী বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন মোমিন। এ কারণে মঙ্গলবার বিকেলে মোমিনের বাসায় হাজির হন প্রেমিকা।
স্থানীয়রা জানায়, মোমিনের পরিবার ঐ কিশোরীকে মারধর করে এবং গলা ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর মোমিনসহ সবাই বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির গেটের সামনে অনশন শুরু করলে ভুক্তভোগীকে আশ্রয় দেন মোমিনের এক প্রতিবেশী।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, মোমিন আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এখন তাকে বিয়ের কথা বললে নানা অজুহাতে বারবার এড়িয়ে যায়। সে আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
অভিযুক্ত মোমিন আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন।