কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে অবৈধ চিরাই কাঠ বহণে ব্যবহৃত ড্যানিশ বোট ছেড়ে দিলো মগনামা বিট কর্মকর্তা আবুল মনজুর। এছাড়া জব্দকৃত চিরাই কাঠগুলো আরও একটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য গাছ পাচারকারীদের সাথে দরকষাকষি চলতেছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার বিকেলের দিকে নদী পথে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ চিরাইকাঠ জব্দ করে বনবিভাগ। চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের আওতাধীন মগনামা বনবিট কর্মকর্তা আবুল মনজুরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বোটভর্তি এসব কাঠ জব্দ করা হয়। পরে কাঠ ভর্তি বোটটি মগনামা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যার দিকে বোট থেকে কাঠগুলো মগনামা বিট কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায় বনবিভাগের লোকজন।
এদিকে বুধবার বিকেলে মগনামা ঘাট ও বিট অফিসে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটের যে স্থানে জব্দকৃত বোটটি নোঙর করা হয় সেখানে সেটি নেই। বিট অফিস প্রাঙ্গণে জব্দকৃত চিরাই কাঠগুলো যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মঙ্গলবার রাতেই ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কুতুবদিয়া এলাকার ড্যানিশ বোটটি ছেড়ে দেয় বিট কর্মকর্তা আবুল মঞ্জুর। এছাড়া জব্দকৃত কাঠগুলোও লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দিতে অবৈধ গাছ পাচারকারীদের সাথে দরকষাকষি করে যাচ্ছেন তিনি।
এব্যাপারে জানতে মগনামা বিট কর্মকর্তা আবুল মনজুরের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমি এখন শুনলাম। বিষয়টি যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।