শিরোনাম ::
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

১৩ লাখ ইয়াবা জব্দের ঘটনায় ৫ বছর পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

১৩ লাখ পিস ইয়াবা চালান জব্দের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি শওকত আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো। রোববার ( ৩ জুলাই) ভোরে পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

অভিযুক্ত আসামী মোহাম্মদ শওকত আলম (৪৫) হাটহাজারীর বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে শুলকবহর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বলে জানা গেছে।

২০১৮ সালের ৩ মে রাতে হালিশহর থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকায় একটি ভবনের ৪র্থ তলা থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আশ্রাফ আলী ও মো. হাসান নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর হালিশহর থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮(১) (খ)/২৫/৩৩(১) মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত শেষে ১২ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, আশ্রাফ আলী ও রাশেদ নামে দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে শওকত আলমসহ চারজন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু আসামির শওকতকে শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও আরও চার আসামির নাম-ঠিকানা শনাক্ত না হওয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে দায়িত্ব অর্পণ করেন।

তিনি বলেন, গত ১৭ এপ্রিল মামলাটির তদন্তভার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাওসারের ওপর অর্পণ করা হয়। তিনি গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামি শওকতকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেন।

পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শওকত ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার থেকে আমদানি করে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক থেকে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন।


আরো খবর: