শিরোনাম ::
ঝিনাইদহের সাবেক ২ এমপির অন্তর্বর্তী জামিন ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট, ৩ ছাত্রদল কর্মীকে পেটাল ছাত্রলীগ চকরিয়ায় মহামারি প্রার্দুভাব মোকাবেলায় গৃহপালিত ৩০০ গরু ও ছাগলকে টিকাদান রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড় কেটে পানের বরজ, জানেনা বন বিভাগ চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে সিআর মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ চকরিয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী ওষুধ কোম্পানির ম্যানেজারসহ ১০ ঘন্টার ব্যবধানে তিনজন নিহত ঈদগাঁওতে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলো বড় ভাই উখিয়ায় দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ আটক ১
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী


নয়াদিল্লি, ০৬ মে – স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পর ছয় বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমিরে ভরা একটি খালে ফেলে দেন সাবিত্রি (৩২) নামক এক নারী। পরের দিন ঐ শিশুর অর্ধেক খেয়ে ফেলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হালামাদি গ্রামে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। তার স্বামী রবি কুমার (৩৬) পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাদের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম বিনোদ কুমার। বোবা ও বধির বিনোদকে নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সাবিত্রির সঙ্গে ঝামেলা করতেন রবি। এমনকি স্ত্রী-সন্তানকে মারধরও করতেন তিনি।

সাবিত্রী পুলিশকে জানান, সন্তান বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার স্বামী তাকে ও তার সন্তানকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলতেন। তাছাড়া ছেলেকে খালে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলতে বলতেন তিনি। শনিবারও ছেলেকে নিয়ে ঝগড়া হওয়ার পর সাবিত্রী তার ছেলেকে উত্তর কন্নড় জেলার একটি খালে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন, যেখানে কুমিরের বসবাস রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফায়ারসার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও খালে তল্লাশি শুরু করেন। রাতভর তল্লাশি চলতে থাকে ও রোববার সকালে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। তার ডান হাত ছিল না ও সারা শরীরে কামড়ের চিহ্ন ছিল, যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে শিশুটি কুমিরের আক্রমণে মারা গেছে।

ঐ নারী বলেন, এ ঘটনার জন্য আমার স্বামী দায়ী। তিনি যদি সবসময় আমার ছেলেকে বলতে থাকেন যে, ও শুধু বসে বসে খায়। এমন ছেলে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো। প্রতিদিনই যদি তিনি বিষয়টি নিয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার করেন, তাহলে আমি কী করবো? আমার ছেলেও বা আর কত অত্যাচার সহ্য করবে? আমি কোথায় যাবো? আমার কষ্টটা একবার বোঝার চেষ্টা করে দেখুন।

সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ
আইএ/ ০৬ মে ২০২৪





আরো খবর: