শিরোনাম ::
ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুননির্মাণ করতেই বিএনপি মাঠে নেমেছে সার্জারি করে চেহারা পরিবর্তন করেছেন শাহরুখপত্নী গৌরী! ৮ পুলিশ কর্মকর্তার তদন্ত দুই মাসে শেষ করার নির্দেশ পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে বান্দরবানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে চিঠি লিখলেন ব্যারিস্টার সুমন, কার উদ্দেশে? পেকুয়ায় ডাম্প ট্রাক- সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫ ‘অস্ত্র’ হাতে বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল, আসল ঘটনা কী টিএসসিতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন গুমের সাথে জড়িত ২০ সরকারী কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সেদিন বঙ্গভবনে কে কী করেছিলেন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪


ঢাকা, ০২ ডিসেম্বর – বঙ্গভবনে রাজনৈতিক দলের নেতা ও সমন্বয়কদের যাওয়া নিয়ে এখন নানামুখী বিতর্ক চলছে। নিজের চোখে দেখা ওই দিনের কিছু ঘটনা শেয়ার করেছেন কৃষিবিদ শেখ মুহাম্মদ মাসউদ। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন তিনি। তার পোস্টটি আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন।

পোস্টে শেখ মুহাম্মদ মাসউদ বলেন, আমি উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ পরিস্থিতিতে ৫ আগস্ট সেনা সদরে অতঃপর বঙ্গভবনে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেনা সদরে আসিফ নজরুল স্যারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কীভাবে সরকার গঠন হতে পারে তার কোনো হোমওয়ার্ক করেছেন কিনা। উনার উত্তর ছিল গত কয়েকদিন পালিয়ে কাটিয়েছেন, হোমওয়ার্ক করবো কখন। উনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কথাবলার ধরণ যা কিছু দেখেছি তাতে আমি বিশ্বাস করি উনি সত্য কথাই বলেছিলেন।

সেনা প্রধান বক্তব্য শেষে যখন সবাইকে তার সঙ্গে বঙ্গভবনে যাওয়ার অনুরোধ করলেন তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই প্রথমে যেতে চাননি। সেনাপ্রধান দেশের ক্রান্তিলগ্নে সবার সহযোগিতা চেয়ে বারবার রিকুয়েস্ট করছিলেন অপরদিকে জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বারবার বলছিলেন যে আমাদের যাওয়া উচিৎ। পরে সবাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেনা সদরে গিয়েছিলেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, জামায়াতের ডা. শফিকুর রহমান, হামিদুর রহমান আজাদ, জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ইসলামি আন্দোলনের সৈয়দ ফয়জুল করিম, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা ফায়জুল্লাহ, গণসংহতির জোনায়েদ সাকি ও ড. আসিফ নজরুল। আসিফ নজরুল স্যার ও জোনায়েদ সাকিকে আর্মির জীপ গাড়িতে উঠিয়েছে আর বাকি নেতৃবৃন্দকে মিনি কোস্টারে নিয়েছে। কোস্টারের গ্লাস সাদা হওয়াও জি এম কাদের এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে বের হওয়ার পর থেকে ভয়ে আতঙ্কে পর্দায় নিজেদেরকে ঢেকে রেখেছিলেন। আমরা ভয় পাচ্ছিলাম জনতা জি এম কাদেরকে দেখে ফেলে কিনা।

যাওয়ার সময় চরমোনাই এর মাওলানা ফয়জুল করীম আর আমি পাশাপাশি বসেছিলাম, কী ধরনের সরকার হতে পারে এ নিয়ে আলাপ হচ্ছিল, উনি বারবার বলছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়ে সামরিক সরকার ভালো এবং আমাদের সেভাবেই কথা বলা উচিৎ।

ইসলামি দলগুলোর আপত্তির কারণে ইসলামি ঐক্য জোটের মাওলানা ফায়জুল্লাহর আর বঙ্গভবনে যাওয়া হয়নি। বিএনপি জামায়াতসহ অন্য দলগুলো আপত্তি করলে হয়ত জাতীয় পার্টিও বাদ পড়ত। মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল ইসলামসহ অন্য যারা বঙ্গভবনে গিয়েছিলন তারা সরাসরি সেখানে গিয়েছিলন।

এখন বিপ্লবী সরকার না হওয়া, বঙ্গভবনে ভুয়া সমন্বয়ক নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি নানা বিষয়ে যেভাবে এককভাবে আসিফ নজরুলের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে তা বাড়াবাড়ি। ৫ তারিখে ফ্যাসিস্টদের দোসর জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ফায়জুল্লাহ গং দের যারা দাওয়াত দিয়েছিল তারা পরিকল্পিতভাবে কাজটা করতে পারে।

তবে আসিফ নজরুল বা বিএনপি-জামায়াত ঐ সময়ে পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গভবনে গিয়েছিল এটা আমার মনে হয়নি। হঠাৎ এত বড় পরিবর্তনে হোমওয়ার্ক না থাকায় তাঁরা সেই পরিস্থিতিতে যা ভালো মনে হয়েছে তাই করেছেন।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ০২ ডিসেম্বর ২০২৪



আরো খবর: