স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৯ সাঁতারু।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় দেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্ত টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু হয়।
৭৯জনের মধ্যে ৫৪ জন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হন। সাগর উত্তাল থাকায় বাকিরা পাড়ি দিতে পারেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল সাঁতরে প্রথম সেন্টমার্টিন পৌঁছান।
আয়োজকরা জানান, বেলা পৌনে ১১টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৭৯ সাঁতারু। তাদের মধ্য বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রাসেল। সবচেয়ে কম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গৌরবও অর্জন করেন তিনি। এর আগে গত বছর সাইফুল ইসলাম রাসেল তিন ঘণ্টা ২১ মিনিটে পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এ ছাড়া এবার তিন ঘণ্টা ১৬ মিনিটে পাড়ি দিয়ে তৃতীয় হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাহ উদ্দিন। এরপর পর্যায়ক্রমে বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৫৪ জন দ্বীপে পৌঁছান।
এ বিষয়ে মুখপাত্র ও সাঁতারু মো. শামসুজ্জামান আরাফাত বলেন, ‘এবার একজন শিশু ও বিদেশি নাগরিকসহ আমরা ৭৯ জন সাঁতারু বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি। তার মধ্য ৫৪ জন সাঁতরে সেন্টমার্টিন পৌঁছেছি। তবে সাগর উত্তাল থাকায় ২৫ জনের সাঁতরাতে সমস্যা হয়েছে। এ জন্য তাদের মাঝপথ থেকে ট্রলারে উদ্ধারকারীরা তুলে নেন।’
প্রসঙ্গত, প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবারের আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।