শিরোনাম ::
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সরকারি কর্মচারীর নেতৃত্বে পাহাড় কাটার স্থানে এডিসি : মামলা ও বনায়নের নির্দেশ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে সরকারি ৫ একর পাহাড় কেটে নেয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ।

রোববার দুপুরে জয়নাল সওদাগরের ঘোনা এলাকায় পাহাড় কাটার স্থানে তিনি পরিদর্শনে যান। ঘটনাস্থলে তিনি সরকারি পাহাড় দখল করে পাহাড় ও গাছ কাটার সত্যতা পাওয়ায় সেখানে লাল কালিতে সরকারি জমি লিখে সাইনবোর্ড স্থাপন, বাঁধ অপসারণ ও বনায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এসময় কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কালেক্টরেট ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ বাবুল, জয়নাল সওদাগর, সিভিল সার্জন অফিসের ইয়াছিন, সরকারি কর্মচারি জুলফিকার আলি ভুট্টো, মাছন ফকির, ইয়াকুব মাঝি সহ ১০ জনের নেতৃত্বে কলাতলীতে জয়নাল সওদাগরের ঘোনা এলাকায় প্রায় ৫ একরের একটি সরকারি পাহাড় রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে নির্বিচারে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠলে কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দু দফা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কয়েকটি অবৈধ ঘর উচ্ছেদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। কিন্তু এরপরও অদৃশ্য কারণে পাহাড় কাটা থামানো যাচ্ছে না।

পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, একমাস ধরে ১৫/২০ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দিনে-রাতে প্রকাশ্যে সরকারি ৫ একরের একটি বিশাল পাহাড় কেটে নেয়া হচ্ছে। এতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কালেক্টরেট ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ বাবুল সহ কয়েকজন সরকারি কর্মচারী জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তা নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ঘটনাটি জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নজরে আনার পর সরকারি পাহাড়টি রক্ষায় দ্রুত সেখানে বনায়নের পাশাপাশি পাহাড় কাটায় জড়িত সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়। এরপর সেখানে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পরিদর্শনে যান।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিল্লুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় অভিযানে যাওয়ার আগেই গেইট থেকে তথ্য পৌঁছে যায়। তাই ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পাহাড় কাটায় জড়িতরা পাশের পাহাড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা দ্রুত পালন করা হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক শেখ মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, পাহাড় কাটার ওই স্থানে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুই দফা পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম জানিয়েছেন ঘটনাটি তাঁর নজরে আসার পর তিনি সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


আরো খবর: