সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সমুদ্র সৈকতে নির্মল আনন্দে মেতেছে পর্যটকরা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তিনটি পয়েন্ট পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে পর্যটকরা কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে ছুটে আসেন। নারী পুরুষ শিশু সবাই যার যার মত করে আনন্দ উপভোগ করছেন সৈকতে। ইনানী, পাটুয়ারটেকসহ অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

পর্যটকরা মনের আনন্দে সমুদ্রে গোসল করছেন, ওয়াটার বাইকে করে সমুদ্রের ঢেউ পার হচ্ছেন, কেউবা ঘোড়ায় চড়ে, কেউ কিটকটের চেয়ারের বসে একাকী ও পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

ইতোমধ্যে কক্সবাজার শহরের হোটেলগুলোতে শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। মূলত ঈদের দিন থেকে কক্সবাজারে আসতে শুরু করে পর্যটকরা। কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনের সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষ মিলে আগামী সোমবার পর্যন্ত তাদের হোটেলের শতভাগ বুকিং রয়েছে। ইতোমধ্যে দেড় লাখ পর্যটক অবস্থান করছে কক্সবাজারে।

এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোন। গতকাল সৈকতে হারিয়ে যাওয়া অন্তত ৬০জন শিশুকে খুঁজে অভিভাবকদের কাছে তুলে দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ এই তথ্য জানান।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সৈকত এবং পর্যটন এলাকায় প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।

ইতোপূর্বে আবাসিক হোটেলের কক্ষ ও রেঁস্তোরায় খাবারের অতিরিক্ত না নিতে সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক জরিমানা এবং শাস্তির আওতায় আনা হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, হয়রাণিমুক্ত পর্যটক সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


আরো খবর: