শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১২ মে, ২০২৪

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এই কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় আশপাশের দেশগুলোতেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ সন্ত্রাসীদের নিজস্ব একটি পরিকল্পনা এবং চেইন থাকে। রোববার (১২ মে) কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে মোকাবিলা করতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রথম দফায় পালিয়ে আসা ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর পর আবারও কিছুদিন আগে ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর গত কয়েকদিনে আবারও ১৩৮ জন বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য নতুন করে নাফনদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। নতুন করে অনুপ্রবেশ করা ১৩৮ জনের মধ্যে একজন কর্ণেল এবং দুইজন মেজরও রয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটছে। অনেক রোহিঙ্গা মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জড়িয়ে গেছে। যার ফলে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দিনদিন। প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সব সময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত। কিন্তু গত ৭ বছরে একজনকেও নিয়ে যায়নি। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছি যাতে মিয়ানমারকে তারা চাপ প্রয়োগ করে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন পেছাতে নতুন অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত গত ৭০ বছর ধরে ছিল। এখন এটাকে প্রত্যাবাসনে অজুহাত হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, গত দুই দফায় আমরা সফলভাবে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের বিষয়েও আলোচনা চলছে মিয়ানমারের সঙ্গে। আশা করছি শিগগিরই ফেরত পাঠানো যাবে।


আরো খবর: