মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

লালদীঘিতে জব্বারের বলীখেলা এবারও হচ্ছে না!

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

করোনা ভাইরাসে অনেক কিছুর মতো থামিয়ে দিয়েছিল চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলাকেও। সেটি সেই ২০২০ সালের কথা। একই কারণে গতবছরও (২০২১ সাল) হয়নি এই উৎসব। এখন করোনার সেই করুণ সুর অনেকটাই নেই বললেই চলে। তবে এবারও ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা ও মেলা না হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
এবার বলীখেলার ১১৩ তম আসর হওয়ার কথা ছিল। শত বছরেও বেশি সময়ের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজন যে হচ্ছে না তা অনেকটাই নিশ্চিত। যদিও আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা আসেনি এখনও। আয়োজক ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বললে সেখানেও না হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত মিলছে।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। এরপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি ১২ বৈশাখ লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হতো জব্বারের বলীখেলা। এই বলীখেলাকে কেন্দ্র করে লালদীঘির আশপাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসত বৈশাখী মেলা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটা ভালো থাকার পরও সংশয় জেগেছে একটি কারণে। লালদীঘী মাঠ এখনো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে না দেওয়ার কারণেই বলীখেলা হবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

লালদীঘি মাঠে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই মহান মানুষটির জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই বছর আগে লালদীঘি মাঠে ঐতিহাসিক ছয় দফার স্মৃতি সংরক্ষণে একটি প্রকল্প হাতে নেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এরপর বদলে যায় মাঠের রূপ। গত বছরের মার্চে এই মাঠের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত উদ্বোধন করা হয়নি। উদ্বোধন না হওয়ায় মাঠটি এখনো সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।

কিন্তু বলী খেলার মূল আয়োজনটি হয় এই মাঠেই। এখন মাঠ বন্ধ থাকায় বলীখেলার আয়োজনও থমকে আছে। আর বলীখেলা না হলে মেলাও হবে না।

আব্দুল জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, ‘এখনো বলী খেলা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিইনি। কেননা লালদীঘি মাঠ উদ্বোধন না হলে তো বলীখেলা ও মেলা আয়োজন করতে পারব না।’

এমন পরিস্থিতিতে বলী খেলার দর্শকদের পাশাপাশি মেলায় অংশ নেওয়া দোকানীদের একটাই দাবি— দ্রুত মাঠ উদ্বোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। কেন না সবার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে খেলা ও মেলা আয়োজনে আর কোনো বাধা থাকবে না।

জানতে চাইলে সিএমপির উপ কমিশনার পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা সিভয়েসকে বলেন, ‘লালদীঘিতে এবারও বৈশাখী মেলা বসার সম্ভাবনা নেই। তবে বলীখেলার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।’ তবে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, মেলা না বসলে শুধু খেলার আয়োজন করার কোন সম্ভাবনা নেই।


আরো খবর: