রোহিঙ্গা দাদি-নাতি মিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন মাদকপাচার করে আসছিলেন। অবশেষে ইয়াবা পাচারের সময় নাতি আশীষ কুমার শীল ও দাদি বিপুলা শীলকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তারা এসব ইয়াবা রাজধানী ঢাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিলেন।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন সড়কে একটি বাস থেকে তাদের আটক করা হয়।
অভিযুক্ত আশীষ কুমার শীল (২১) কক্সবাজার উখিয়া থানার কুতুপালং রোহিঙ্গা হিন্দু ক্যাম্পের ১ নম্বর ইস্ট ব্লকের এফসিএন নম্বর-২০০১৭০৫ নিবন্ধন নম্বর-৫০৫ এর হরিশ চন্দ্র শীলের ছেলে এবং অপরজন তার দাদি বিপুলা শীল (৬০)।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর (দক্ষিণ) উপপরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা। তিনি জানান, গত রোববার রাতে কর্ণফুলী থানার শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী সৌদিয়া এ্যারো নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী আশীষ কুমার শীল (২১) ও তার দাদি বিপুলা শীলকে (৬০) তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আশীষ কুমার শীলের কাছে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে সাত হাজার ও বিপুলা শীলের লেডিস ব্যাগ থেকে সাড়ে ছয় হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা দোষ স্বীকার করেন। এছাড়া ইতোপূর্বে একাধিক বার কক্সবাজার থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করেছেন বলে জানান।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপপরিদর্শক মো. ফাহিম রাজু বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন বলে জানান মুকুল জ্যোতি চাকমা।