শিরোনাম ::
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর, “মিয়ানমারের বিরূদ্ধে মামলায় অগ্রগতি হচ্ছে”

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

শহিদ রুবেল::

কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর প্রধান প্রসিকিউটর করিম এ.এ. খান, কেসি এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

২৬ নভেম্বর সকালে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ ইস্টে পৌঁছান এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে দিনব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন।

পরিদর্শনের শুরুতে প্রতিনিধি দল ক্যাম্প-১ ইস্টের এফ/১২ ব্লকে অবস্থিত এনজিও সংস্থা সেভ পরিচালিত এজেএআর অফিস পরিদর্শন করেন। সেখানে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আগত ২০-২৫ জন রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলেন। নারীরা ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের বর্ণনা দেন এবং বর্তমানে ক্যাম্পে বসবাসের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দল ভিডিও ধারণের মাধ্যমে এসব তথ্য নথিভুক্ত করেন।

পরে প্রতিনিধি দল একই ক্যাম্পে এফ/৪ ব্লকে অবস্থিত রোহিঙ্গা প্রতিনিধি কমিটির অফিসে একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন। সভায় শখানেক সাধারণ রোহিঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রতিনিধি দল জানায়, মিয়ানমার আইসিসি সদস্য না হওয়ায় সেখানে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা কামনা করে জানান যে, মামলার তদন্ত একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া হলেও অগ্রগতি হচ্ছে এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করার জন্য কাজ চলছে।

এইছাড়াও প্রতিনিধি দলটি ক্যাম্প-৪ এর ই/৪ ব্লকে পানির বিতরণ পয়েন্ট এবং সেভ দ্য চিলড্রেন পরিচালিত গোল্ডেন লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। এখানে সাধারণ রোহিঙ্গা, নারী ও শিশুদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পাশাপাশি মিয়ানমারে তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনাগুলো শোনেন। প্রতিনিধি দল এসব তথ্য ভিডিও আকারে ধারণ করে।

প্রসিকিউটর করিম এ. এ. খান বলেন, “রোহিঙ্গা গণহত্যা তদন্তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে, মিয়ানমার আইসিসি সদস্য না হওয়ায় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তদন্তে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ এবং শিগগিরই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে।”

প্রতিনিধি দলে জোনাথন আগার (প্রধান, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স ইউনিট), এসা ফাল (বিজিডি/এমএমআর দলের প্রধান), মেলিসা প্যাক (ট্রায়াল লইয়ার), ইয়ে থুন (রিজিওনাল এক্সপার্ট), মাইকেল স্পুরসহ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন আইসিসি-এর বিভিন্ন বিভাগ ও কার্যক্রমের বিশেষজ্ঞ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।

উল্লেখ্য, প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গাদের জীবনের অভিজ্ঞতা, ২০১৭ সালে সংঘটিত নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সরাসরি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে শোনার পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ ও নথিভুক্ত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।


আরো খবর: