কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ টহল দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিন ঘণ্টার এই যৌথ টহলে অংশ নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৭৬ জন সদস্য।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত বালুখালীর ৮ নম্বর (পশ্চিম) ক্যাম্পে চলে এই যৌথ টহল।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের সহ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার সাইফুজ্জামান।
তিনি জানান, যৌথ টহলে অংশ নেন ছয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, এপিবিএনের তিন ব্যাটালিয়নের ৩০০ সদস্য, জেলা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের ৪০ জন করে ১২০ সদস্য এবং আনসার বাহিনীর ৫০ সদস্য।
তিনি আরও জানান, তিন ঘণ্টার টহলে ক্যাম্পের আশেপাশে ঘুরে দেখা হয়। মূলত ক্যাম্পের নিরাপত্তা জোরদারে বিভিন্ন সময় যৌথ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যৌথ অভিযান বাস্তবায়নে টহলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান, বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভা করেছেন। যেখানে ১২টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিয়মিত যৌথ টহল ও বিশেষ অভিযান পরিচালনারও সিদ্ধান্ত হয়। যার আলোকে শনিবার যৌথ টহল অনুষ্ঠিত হল।
প্রসংগত, ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের ছয় বছর হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট পর্যন্ত এই ছয় বছরে ১১ ধরনের অপরাধে তিন হাজার ২০টি মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় আসামি সংখ্যা ছয় হাজার ৮৩৭ জন। যেখানে ১৬৪ টি হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৩১ টি। যেখানে আসামির সংখ্যা ৯৯১ জন।
এছাড়া ২৩৮টি অস্ত্র মামলায় আসামির সংখ্যা ৫৫২ জন, দুই হাজার ৫৭টি মাদক মামলায় আসামির সংখ্যা ২৯৭৯ জন, ৯৪টি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টায় মামলায় আসামির সংখ্যা ১৪৪টি, ৪২টি ফরেনার্স এ্যাক্ট মামলায় আসামির সংখ্যা ১০৪ জন, ৪৪টি অপহরণ মামলায় আসামির সংখ্যা ২২২ জন।
আর ৬৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইন মামলায় আসামির সংখ্যা ১৩৩ জন, সাতটি পুলিশ আক্রান্ত মামলায় আসামির সংখ্যা ৭৭ জন, ৬২টি ডাকাতি ও ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় আসামির সংখ্যা ৫০৫ জন, ৩৭টি মানবপাচার মামলায় আসামির সংখ্যা ১৮৯ জন ও ২৪৩টি অন্যান্য মামলায় ৯৪১ জন আসামি রয়েছেন।