শিরোনাম ::
কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু উখিয়ার শিক্ষক ইকবাল হত্যার ঘটনায় আটক-১ “নদী ভাঙ্গন ঠেকাও,কোনাখালী বাসীকে বাঁচাও” কক্সবাজারে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে জেপিটিটিসি’র হাউসকিপিং-প্লাম্বিং ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন উখিয়ার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতি! ঈদগাঁওতে বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী নিহত সৌদি আরবে গ্যাস বিস্ফোরণে রামুর দুই যুবকের মৃত্যু, স্বজনদের আহাজারি
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া দিলে মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদেরকে অবৈধভাবে বাসা বা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।একই সাথে রোহিঙ্গাদের কে ভাড়া দেওয়া বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন পুলিশ সুপার।

বুধবার (৩ এপ্রিল) টেকনাফ রঙ্গিখালী মাদ্রাসা মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামে উদ্যোগে অপরাধ দমনে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গারা মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। এই সব অপরাধের পাশাপাশি একটি চক্রের ইন্ধনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টাও করছে তারা।টেকনাফ যেসব অপহরণ হচ্ছে সব ঘটনার পিছনে রোহিঙ্গারা। আমরা অপরাধীদের শিকড় সন্ধান করে তাদের শিকড় কেটে দিব। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,ক্যাম্প থেকে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গারা বেরিয়ে পড়ৈ এবং ওদের অবাধ বিচরণের কারণে উখিয়া টেকনাফে অপহরণ বাড়ছে।এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আরো ভয়াবহ হবে বলে।রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বাঙালিরদের টার্গেট করে। পরে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। টেকনাফে পুলিশের আরো পুলিশের জনবল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, আমাদের ইউনিয়ন ২৭ কিলোমিটার এলাকা গৃহীন পাহাড়। এখানে পাহাড় কেন্দ্রীক অপহরণ চক্র গড়ে উঠেছে। আমাদের এলাকায় একটি মাত্র ফাড়ী আছে।যেখানে মাত্র পুলিশের সংখ্যা ৭-১০জন। এগুলো দিয়ে অপরাধ দমন সম্ভব না। তাই পুলিশের জনবল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।

টেকনাফ হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ কর। জুম চাষে গেলে সেখান থেকে সন্ত্রসীরা অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপন আদায় করে। এখন জুম চাষীরাও ভয়ে আর যায় না।এতে মানুষের মধ্যে আতংক বাড়ছে।এজন্য পাহাড় গুলোতে যৌথ অভিযানের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম হোসেন,টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওসমান গণি, টেকনাফ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি বাহাদুর ও উখিয়া -টেকনাফের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ স্থানীয়রা


আরো খবর: