শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রামুতে ৭টি করাতকল সীলগালা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

কক্সবাজারের রামুতে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একদিনে ৭টি করাতকল সীলগালা করেছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাঘখালী রেঞ্জ। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে চলে এ অভিযান।

সীলগালা করা ৭টি করাতকল হল: সিকদারপাড়া এলাকা জাফল আলমের ছেলে রফিকুল ইসলামের নামে মেসার্স রফিক স’মিল সীলগালা করা হয়। পরে রামু বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কমরুদ্দিনের মালিকানাধীন মেসার্স কমর স’মিল, কামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন মেসার্স কহিনুর স’মিল, মাহবুবুল আমের মালিকাধীন মাহবুব ও জসিম স’মিল, কামরুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স ইসলাম স’মিল, মীর কাসেম হেলালীর মালিকানাধীন মেসার্স হেলালী স’মিল, মোঃ নুরুল হকের মালিকানাধীন জনতা সমিল ও রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স রফিক স’মিল সীলগালা করে করাত, চাকা, চিরাই স্টেন্ডসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয় ।

এসময় ৭টি করাতকল থেকে বিভিন্নজাতের ১৮৭ফুট গোল কাঠ ও ৩৭ফুট চিরাই কাঠ জব্দ করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার জাহান।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২১২টি করাতকলের রয়েছে তার মধ্যে চকরিয়ায় ৩৯, পেকুয়ায় ১৮, সদর উপজেলায় ৩৩, টেকনাফে ২২, রামুতে ২৬, কুতুবদিয়ায় ১৩, মহেশখালীতে ২১ ও উখিয়ায় ৪০টি রয়েছে। এসব করাতকলের কোনোটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।

১৭টি করাতকলের বন বিভাগের লাইসেন্স থাকলেও ইতিমধ্যে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।। বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে করাতকল স্থাপন না করার নিয়ম থাকলেও ৯০ শতাংশ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে বনাঞ্চলের আশপাশে। সাধারণ মানুষ মনে করঠে এভাবে যদি অবৈধ স’মলিগুলো বন্ধ করা হয় তবে সামাজিক বনায়ন ও বন রক্ষা পাবে। সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়া রেঞ্জ এর অধিনে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু স’মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান জানান, নিয়মিত টহল চলাকালে করাতকল গুলো নজরে আসে । প্রত্যেকটির করাত কলের বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে তারা কোন ধরনের কাগজ আমাদের দেখাতে পারেনি। তাই আমরা আজকে ৭টি করাতকল সীলগালা করে দিয়েছি। এবং করাতকলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাদের করাতকল সীলগালা করা হয়েছে করাতকলবিধিমালা /২০১২ মূরে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, আজকে ৭টি অবৈধ করাতকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনভাবে এই অবৈধ করাতকল থাকবে না । যারা অবৈধ করাতকল বসিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো খবর: