সোয়েব সাঈদ, রামু::
বাড়ির সামনে ফুলের বাগান পরিচর্যা করছিলেন স্কুল শিক্ষিকা ইমারী রাখাইন। মূহুর্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেপরোয়া গতিতে আসা পিকআপ চাপা দেয় তাকে। এতে নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান হতভাগ্য এ শিক্ষিকা। আজ শনিবার, ২৬ জানুয়ারি সকাল ৭ টার দিকে রামু-মরিচ্যা সড়কের অফিসেরচর গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই দূর্ঘটনার শিকার হন ওই শিক্ষিকা।
নিহত ইমারী রাখাইন (৪৯) রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অফিসেরচর গ্রামের থোয়ে চা অং এর মেয়ে। পৈত্রিক বাড়িতেই তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন। তার স্বামীর নাম উলা রাখাইন। ইমারী রাখাইন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বানিয়ারঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
নিহত ইমারী রাখাইনের ছেলে কক্সবাজার সিটি কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র উএমং রাখাইন জানিয়েছেন- সকাল তার মা বাড়ির সামনে সড়কের পাশর্^বর্তী ফুলের বাগান পরিচর্যা করছিলেন। এসময় রামু অভিমুখি দ্রুতগামি একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বাইরে এসে তার মাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মা প্রাণ হারান।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান সড়ক দূর্ঘটনায় শিক্ষিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- ইমারী রাখাইন সড়কের বাইরে নিজেদের বাগানে কাজ করছিলেন। গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে এসে সড়কের অন্যপাশে গিয়ে তাকে (ইমারী) চাপা দিয়েছে। এটা দূর্ঘটনা নয়, যেন পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। দূর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক চালকসহ গাড়িটি আটকের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। দূর্ঘটনাটি ঘটে রামু থানার মাত্র ৩০০ মিটার দূরত্বে। অথচ দূর্ঘটনার বিষয়টি অবহিত করার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে আড়াই ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে।
জানা গেছে, ইমারী রাখাইন ১ ছেলে, ১ মেয়ের জননী। বড় সন্তান (ছেলে) কক্সবাজার সিটি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত এবং মেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় শিক্ষিকা ইমারী রাখাইনের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবার-পরিজন। পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এলাকাবাসী ঘাতক চালককে আটকসহ এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।