শিরোনাম ::
পেকুয়ায় দুই হাজার একর জমিতে লবণ চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা উখিয়ায় কৃষকদলের সমাবেশে প্রান্তিক কৃষকদের মূল্যায়ন করার দাবী মহেশখালীতে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আলোচিত জিয়াসহ আটক-২ চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদিসহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার উখিয়ার মেরিন ড্রাইভে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় অস্টেলিয়ান নাগরিক নিহত বান্দরবানে যক্ষা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা মিয়ানমার থেকে বিপুল ইয়াবা ও অস্ত্র-গুলি আনার সময় জব্দ,এক ডাকাত আটক মহেশখালীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১০ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশী অস্ত্র-গুলিসহ ৩ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

যে কারণে ডায়েট করে কমছে না ওজন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪

[ad_1]

ওজন কমাতে কমবেশি সবাই ডায়েট করেন। এক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ডায়েট অনুসরণ করেন। দেখা যায় প্রথমদিকে ১-২ কেজি ওজন কমলেও তা আবার ধরে রাখা দায়। অতিরিক্ত ক্ষুধা কিংবা বিভিন্ন খাবারের প্রলোভনে অনেকেই সঠিক ডায়েট অনুসরণ করতে পারেন না।

সেক্ষেত্রে ওজন কমার চেয়ে আবার তা বেড়ে যেতে থাকে। ফলে আবারও ওজন বাড়ে, আর তারা হতাশ হয়ে ডায়েট বন্ধ করে দেন। দুর্ভাগ্যবশত এই চক্র স্থূলকায় ব্যক্তিদের ওজন কমানোর যাত্রায় একাধিকবার পুনরাবৃত্তি হয়। যা চরম হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এ বিষয়ে ভারতের ব্যারিয়াট্রিক ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন ডা. অপর্ণা গোভিল ভাস্কর জানিয়েছেন ঠিক কী কী কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই ডায়েট মানলে ওজন সহজে কমে না।

ঘেরলিনের মাত্রা বাড়ে
ঘেরলিন হলো ক্ষুধা-প্ররোচনাকারী হরমোন। ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া স্থূলতার কারণ নয়, বরং ঘেরলিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রভাব। ওজন কমানোর ডায়েট ঘেরলিনের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে ক্ষুধা বাড়ে। আর অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ওজনও বাড়তে থাকে।

ডায়েট করলে জিএলপি ১ ও পিওয়াইওয়াই এর মাত্রা কমে
জিএলপি ১ ও পিওয়াইওয়াই এর মতো অন্ত্রের হরমোন ক্ষুধা দমন, তৃপ্তি, ক্ষুধা, রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণসহ আরও অনেক কিছুকে প্রভাবিত করে। ওজন কমানোর ডায়েট জিএলপি ১ ও পিওয়াইওয়াই এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে কম তৃপ্তি, ক্ষুধা ও লালসা বেড়ে যায়। স্থূলতা ইনসুলিন ও লেপটিন প্রতিরোধের সঙ্গেও যুক্ত। এই হরমোন শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

পিত্ত অ্যাসিড কমে যাওয়া
পিত্ত অ্যাসিডগুলো গ্লুকোজ ও শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করে। অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের পাশাপাশি, তারা জিএলপি ১ সক্রিয় করতেও সাহায্য করে। স্থূলতার রোগীদের মধ্যে, সঞ্চালনকারী পিত্ত অ্যাসিডের মাত্রা দুর্বল হয়।

মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে
স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মিষ্টি স্বাদের প্রতি কম সংবেদনশীলতা থাকে। একই স্বাদের উপলব্ধি পেতে তারা অনেক বেশি মিষ্টি খেতে পারে। শক্তির ভারসাম্য, স্বাদ ও গন্ধের সংকেতের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ মিথস্ক্রিয়া আছে।

জেনেটিক্স দায়ী
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ স্থূলতার জন্য জেনেটিক্স দায়ী। স্থূলতা মনোজেনিক, সিন্ড্রোমিক বা পলিজেনিক হতে পারে। পলিজেনিক স্থূলতা সবচেয়ে সাধারণ। এই তত্ত্ব বলে যে মানবদেহ একটি পছন্দের সীমার মধ্যে তার ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করে।

যতবারই আমরা ওজন কমানোর প্রবণতা করি, শরীর কিন্তু নির্দিষ্ট ওজনে ফিরে আসার প্রবণতা রাখে। স্থূলতা সব সময় স্ব-প্ররোচিত নয়। ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে স্থূলতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি অন্য যে কোনো রোগের মতোই একটি রোগ। এর কার্যকর ফলাফল পেতে পদ্ধতিগতভাবে ও পর্যায় অনুসারে চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

[ad_2]


আরো খবর: