ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি – ঢাকায় মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবির নিখোঁজ হয়েছেন। তার সন্ধানে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত শাহরিয়ারের কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ।
রবিবার বিকেলে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপো অফিস থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহরিয়ার। এ ঘটনায় রাজধানীর তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার মা রাশিদা আক্তার সাহান।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপো অফিস থেকে বেরিয়ে যান শাহরিয়ার। এ সময় তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন অফিসে রেখে যান। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে সর্বশেষ হেঁটে মেট্রোরেলের ডিপোর দিকে যেতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ কৌশলে পড়াশোনা করেছেন শাহরিয়ার। লালবাগের আজিমপুর টাওয়ারে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তাদের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা রাণীবাজার এলাকায়।
নিখোঁজ শাহরিয়ার কবিরের মা রাশিদা আক্তার বলেন, আমরা ১৩ বছর ধরে আজিমপুরে থাকি। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় অফিসের গাড়ি এসেছিল বাসার নিচে। কোনো রকম রুটি খেয়েই দৌড় দেয় শাহরিয়ার। এরপর বিকেল ৫টায় অফিস থেকে একা বের হয়ে বাসায় ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অফিস থেকে বের হলেও সঙ্গে থাকা মোবাইল, ল্যাপটপ ও ব্যাগ কিছুই নেয়নি। পরে রাতে অনেক খুঁজেও না পেয়ে তুরাগ থানায় জিডি করেছি। পাশাপাশি বিষয়টি র্যাবকে জানানো হয়েছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, বুয়েটে পড়ালেখা শেষ করে মেট্রোরেলে চাকরি হয় শাহরিয়ারের। আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল মেট্রোরেল গড়বে। এ জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও মেট্রোরেল নিয়ে কাজ করছে। আমার ছেলে ছোট থেকে সংগ্রাম করে বড় হয়েছে। ওর বাবা অসুস্থ থাকার সময় হাসপাতালে দৌড়াদৌড়িসহ সবকিছু একাই করেছে। ছেলেকে নিয়েই সময় কাটত আমার। সারা দিন রান্নাবান্নাসহ সবকিছু ছিল ছেলের জন্য। ছেলেকে ছাড়া আমি বাঁচব না।
তুরাগ থানার (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, সোমবার শাহরিয়ার কবিরের মা রাশিদা আক্তার সাহান থানায় জিডি করেছেন। পাশাপাশি এমআরটি প্রকল্পের পক্ষ থেকেও উত্তরা ডিপোর সিকিউরিটি ম্যানেজার একরামুল কবির হাওলাদার একটি জিডি করেছেন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
,