কুয়ালালামপুর, ০৩ এপ্রিল – গুরুতর অপরাধের শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট। এর ফলে মৃত্যুর সাজা থেকে রেহাই পেতে চলেছেন ১ হাজার ৩০০’র বেশি কয়েদি। দেশটিতে ২০১৮ সাল থেকেই অবশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। খবর বিবিসির।
মালয়েশীয় পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে দেশটিতে হত্যা, সন্ত্রাসসহ গুরুতর ১১টি অপরাধে বাধ্যতামূলক শাস্তি হিসেবে আর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষমতা রাখা হয়েছে বিচারকদের কাছে।
আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য মালয়েশীয় আদালত এখন ৪০ বছর পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা বেত মারার মতো শারীরিক শাস্তির পক্ষে থাকবে।
সোমবার পার্লামেন্টে বক্তৃতায় মালয়েশিয়ার উপ-আইনমন্ত্রী বলেছেন, সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) অপরিবর্তনীয় এবং এটি অপরাধের প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করেনি। রামকরপাল সিং বলেন, মৃত্যুদণ্ড যে ফলাফল আনার কথা ছিল, তা আনেনি।
মৃত্যুদণ্ড বাতিলের সিদ্ধান্তটি কার্যকরে এখন মালয়েশীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের অনুমোদন পেতে হবে। তবে সেখানেও এটি ব্যাপক ভোটে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন আইন পাস হলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ৯০ দিনের মধ্যে তাদের সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। দেশটিতে বর্তমানে এ ধরনের ১ হাজার ৩৪১ জন কয়েদি রয়েছেন।
সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/০৩ এপ্রিল ২০২৩