শিরোনাম ::
পেকুয়ায় দুই হাজার একর জমিতে লবণ চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা উখিয়ায় কৃষকদলের সমাবেশে প্রান্তিক কৃষকদের মূল্যায়ন করার দাবী মহেশখালীতে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আলোচিত জিয়াসহ আটক-২ চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদিসহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার উখিয়ার মেরিন ড্রাইভে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় অস্টেলিয়ান নাগরিক নিহত বান্দরবানে যক্ষা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা মিয়ানমার থেকে বিপুল ইয়াবা ও অস্ত্র-গুলি আনার সময় জব্দ,এক ডাকাত আটক মহেশখালীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১০ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশী অস্ত্র-গুলিসহ ৩ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চাঞ্চল্যকর শিক্ষক আরিফ হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী রুবেল গ্রেফতার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

কক্সবাজারের পেকুয়ার বহুল আলোচিত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (৪৭) হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মুল পরিকল্পনাকারী মো.রুবেল খানকে আটক করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা কাচাঁ বাজার এলাকা থেকে র‌্যাব-১৫, র‌্যাব-৭ এবং র‌্যাব-১১ এর যৌথ আভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। রুবেল খান (২৭) চাঁদপুর সদর থানার চরপুচন্ডী এলাকার হাবিবুল্লাহ খানের ছেলে। এ ব্যাপারে র‍্যাবের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১২) অক্টোবর সকাল ১০টায় র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, রুবেল অপহরণ ও হত্যাকান্ডের প্রাথমিক পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম। অপহৃতের মোবাইল থেকে স্বজনদের কাছে রুবেল কয়েক দফা কল করে ৩৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এছাড়া অপহরণের আগে অধ্যক্ষ আরিফের গতিবিধির উপর দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিও করে রুবেল। গ্রেফতারের পর রুবেল হত্যাকান্ড ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা র‍্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।

জানাগেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে পারিবারিক প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফ। এরপর আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি না ফেরায় তার স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার লাইজু তাঁকে ফোন দেয়। কিন্তু আরিফের মোবাইলে রিং হলেও কল রিসিভ করেননি। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাননি। ওইদিন রাতে নিহতের স্ত্রী পেকুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যার জিডি নং ১০৩৫।
এরপর গত ১ অক্টোবর আরিফের ছোট ভাই বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ০২/২৪।

এদিকে নিখোঁজের ১৩দিন পর শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনীস্থ বাড়ীর পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অধ্যক্ষ মো. আরিফের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় বস্তায় ইট বাধা ছিলো।
এর আগে একজন শিশু ওই পুকুরে বড়শি ফেললে নাকে দুর্গন্ধ পান। পরে শিশুটি দুর্গন্ধের কথা আরিফের পরিবারকে বললে তারা এসে লাশ দেখতে পান।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ব্যাপক লুটপাট চালায়। এছাড়া তার ছোট ভাই মো.আজমের মালিকানাধীন মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানাগেছে, মো.আরিফ সদর ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতবর পাড়া এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে ও পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন।


আরো খবর: