ওয়াশিংটন, ০৭ জুলাই – মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠােনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এই অস্ত্রের মোতায়েন নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ রয়েছে। তাছাড়া এই বোমা শতাধিক দেশে নিষিদ্ধ। খবর আল-জাজিরার।
ক্লাস্টারবোমাসহ নতুন অস্ত্র প্যাকেজের ঘোষণা শুক্রবারই (৭ জুলাই) দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্টদের উদ্বৃতি করে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ওই অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
ক্লাস্টার বোমা একটি বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে প্রচুর পরিমাণে ছোট বোমা ফেলে দেয়। যা যুদ্ধের সময় ও তার অনেক পরে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। কারণ কিছু বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকে।
ইউক্রেন যদি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয় অর্থাৎ, রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে না পারে, তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে জয়ী হলেও ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দ্রুত অন্তর্ভুক্তির জন্য ন্যাটোর নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার জবাবেই কিয়েভকে এ সতর্কবার্তা দিলো হোয়াইট হাউজ।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন-পিয়েরে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে হলে ইউক্রেনকে অবশ্যই জোটের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মতো প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আর সে যোগ্যতা অর্জনের পূর্বশর্ত হলো দেশটির শাসনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার। এ শর্ত পূরণ করতে না পারলে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে না।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৭ জুলাই ২০২৩