মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মাদকসেবন রোধ করতে সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪

তরুণদের মধ্যে মাদক নির্ভরশীলতার জন্য সচেতনতার অভাবকেই দায়ী, মাদকের ভয়াবহতা এবং বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা সম্পর্কে আরও প্রচারণা প্রয়োজন।

২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ৫ দিন পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা, সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয় এবং উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে পৃথক ভাবে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে ” পরিবারে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ” শীর্ষক প্রশিক্ষণে এমন মন্তব্য করেন তরুন সমাজ ও বক্তারা।

‘ঢাকা আহছানিয়া মিশন-এর এনহানচিং দ্যা ক্যাপাসিটি অব দ্যা সিভিল সোসাইটি টু প্রিভেন্ট ড্রাগ এবিউস এমং দ্যা ইয়ুথ প্রজেক্ট এই আয়োজন করে। উক্ত সেশন গুলোতে প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনেরা (স্টেক হোল্ডার) অংশগ্রহণ করেন। “পরিবারে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ” শীর্ষক প্রশিক্ষণ গুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন। প্রশিক্ষণ গুলো মাদদ্রব্যসহ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে মাদক নির্ভরশীলতার সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য, শিক্ষা, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা ব্যাবস্থাকে সমন্বিত করে বহুমুখী পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। মাদক সম্পর্কিত শিক্ষা কার্যক্রম তরুণদের মাঝে মাদক সেবনের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো বুঝতে এবং সমবয়সীদের প্ররোচনায় মাদক গ্রহণ করা থেকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিরোধের প্রচেষ্টার মধ্যে মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর আইন এবং সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার একটি গুরুতর সমস্যা যা সমাধানে সমাজের সকল স্থরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃক ইউএনওডিসি (ইউনাইটেড ন্যাসন্স অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম) এবং ডিএপিসি (ড্রাগ এন্ড এলকোহল প্রিভেনশন সেন্টার) এর সার্বিক সহয়তায় ‘এনহ্যানসিং দ্যা ক্যাপাসিটি অব সিভিল সোসাইটি টু প্রিভেন্ট ড্রাগ এবিউস এমাং দ্যা ইউথ্’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রসিকিউটর শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ তরুণ। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখতে তরুণ সমাজকেই সর্বাধিক ভূমিকা রাখতে হবে।

উল্লেখ্য,পরিবারে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ৫ টি প্রোগ্রামে ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০টি পরিবার অংশ গ্রহণ করেন। প্রতি পরিবারে থেকে ১ জন করে ইয়ুথ লিডার ও ২ জন করে পিতা-মাতা অংশ গ্রহণ করেন। এতে মোট ১২০ জন অংশগ্রহণকারী ছিলেন।


আরো খবর: