শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মাতারবাড়িতে জেটি-কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু জুলাইয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ির বন্দরটি এরমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। আগামী জুলাই থেকে সেখানে জেটি ও কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ বন্দর চালু হলে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। এতে ব্যবসায়ীদের অর্থ ও সময় বাঁচবে। আমরা আশা করছি ২০২৬ সাল থেকে বন্দরটির সুবিধা পাওয়া যাবে।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ী পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর হবে বাণিজ্যিক হাব। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফলাইন। মাতারবাড়ী বন্দরও প্যারালাল (সমান্তরাল) অর্থনীতির লাইফলাইন হবে। সমুদ্র বন্দরটি স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকার মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সকল বন্দর সুবিধা নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের ভিআইপি পার্সনরা দেশে এসেছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। তখনকার ‘স্মার্ট দেশ’ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে।

প্রতিমন্ত্রীর এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. ইউসুফ।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাগরপথে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৩১ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর। এ সমুদ্রবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থায় সাগরে বাঁধ বা ব্রেকওয়াটার তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ‘ক্যাসিওপিয়া–ফাইভ’ দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা এই প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ করেছে এ প্রকল্পে।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল আমদানির জন্য ওই এলাকায় দুটি জেটিও নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নিয়ে দুটি জেটিতে এ পর্যন্ত ১১৭টি বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে।


আরো খবর: