কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচজন মারা গেল এ ঘটনায়।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- শাহীন, রহিম উল্লাহ, আরমান। তাদের মধ্যে রহিমের শ্বাসনালিসহ শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ, শাহীনের ৬০ শতাংশ ও আরমানের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসক।
এ নিয়ে ট্রলারে বিস্ফোরণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত শনিবার দগ্ধ অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে আইয়ুব আলী নামে একজন ও সোমবার চমেক হাসপাতালে ওসমান গনী নামে আরো একজন মারা যান।
গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে রাখা একটি মাছ ধরার ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জেলে দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন- দীন মোহাম্মদ, রহিম উল্লাহ, আইয়ুব আলী, শাহীন, ওসমান গনী, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রহিম উল্লাহ, মইন আহমেদ ও আরমান।
তাদের মধ্যে আইয়ুব আলী ও দীন মোহাম্মদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায় চমেক কর্তৃপক্ষ। সেখানে নেয়ার পথে আইয়ুব মারা যান।
ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে শাহীন, ৯টার দিকে রহিম ও দুপুর ১টার দিকে আরমান মারা যান। এ ঘটনায় মোট ১০ জনকে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে দু’জন ওয়ার্ডে ও দু’জন আইসিইউতে রয়েছেন।